পীরগঞ্জে হিন্দু পল্লিতে হামলার ‘মূলহোতা’ সৈকতকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার

সম্প্রতি রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় সহিংসতার ঘটনায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের মো. সৈকত মণ্ডল ছাত্রলীগ করতেন বলে জানা গেছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ। সৈকত মণ্ডল কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের দর্শন বিভাগের সহ-সভাপতি ছিলেন। গত শুক্রবার সৈকত ও রবিউলকে রংপুর থেকে আটক করে র‌্যাব। এর আগেও বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল ছাত্রলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা।

গতকাল শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন।

তিনি জানান, চার বছর আগে ২০১৭ সালের ৮ মে দর্শন বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটিতে সহসভাপতি পদে ছিলেন সৈকত মন্ডল। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর তাকে ছাত্রলীগের কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই তার।

মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সৈকত মন্ডলের বাড়ি পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামে। সম্প্রতি এলাকায় অবস্থানকালে তিনি দলীয় আদর্শবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত হন। বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে উসকানি ও বিদ্বেষমূলক পোস্ট ও মন্তব্য করতেন। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়ায় ১৮ অক্টোবর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে সৈকত মন্ডলকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার। তিনি বলেন, আমরা যখনই তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট ও কমেন্টস করার অভিযোগ পেয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে তাকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করেছি। একই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি।

এদিকে পীরগঞ্জে হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে সিজার বলেন, এটিও প্রশাসন তদন্ত করে জানাবে। তবে আমরা শুনেছি, সৈকত ঘটনার আগ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এসব নিয়ে লেখালেখি করত। এটি আমাদের ছাত্রলীগের রাজনীতির পরিপন্থী। এ কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।