প্রথম বিয়ে গোপন রেখে ছাত্রীকে বিয়ে করলেন মাদরাসা শিক্ষক

শিক্ষক হলেন জাতির আলোকবর্তিকাবাহী এবং মানব জাতির ভবিষ্যতের রূপকার। তিনি আমাদের বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক। শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়, শিক্ষকদের থেকে যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা অর্জন করি, তা জীবনের বাকি দিনগুলোতে বহন করে থাকি আমরা।

নতুন খবর হচ্ছে, সাতক্ষীরায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে রেখে নিজ মাদরাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাথে বাল্যবিবাহের অভিযোগ উঠেছে। তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক খায়রুল ইসলাম ধানদিয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মৃত মুসলিম সানার ছেলে ও মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার শিক্ষক।

জানা গেছে, মানিকহার দ্বিমুখী মাদরাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তো একই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থী মানিকহার গ্রামের আব্দুল মাজেদের কন্যা শান্তা খাতুন। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ফুঁসলিয়ে গত কায়েক মাস পূর্বে শান্তাকে বাল্যবিয়ে করেন তিনি। অথচ তিনি ১১ বছর আগে ওমরপুর এলাকার ওহাব মোড়লের কন্যা তানিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী থাকার পরও তিনি তার প্রতিষ্ঠানের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এ শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার ১ম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই তাকে বিয়ে করেছি। শান্তা খাতুনকে বিয়ের সময় শান্তা খাতুনের বয়স একটি কম থাকলেও ১০ম শ্রেণির ছাত্রী শান্তার বয়স এখন ১৯ বছর। বর্তমানে সে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী।

বাল্যবিয়ের শিকার শান্তার পিতা আব্দুল মাজেদ বলেন, খায়রুলকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। তার কাছে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তো। কিন্তু সে যে এত বড় টাউট তা আমি জানতাম না। আমার একমাত্র মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করায় আমার স্ত্রী এবং আমি মানুষিকভাবে ভেঙে পড়েছি।

মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসা সুপার ফজলুর রহমান জানান, শুনেছি খায়রুল শান্তাকে বিয়ে করেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।