প্রেমিকের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে পড়ে মারা গেল প্রেমিকা

কাউকে ভালোবাসা আর কারো প্রতি প্রেমে পড়া আসলে এক বিষয় নয়। কাউকে ভালবাসা এবং কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া একই রকম অনুভূতি কিন্তু তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান পার্থক্য রয়েছে।

নতুন খবর হচ্ছে, তানিয়া আক্তার তুলি (২০) নামের ওই যুবতী বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু সরকার।

তিনি আরও জানান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানা পুলিশ তানিয়া আক্তার তুলি’র মরদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ময়না তদন্ত শেষে বিকেলের দিকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেমিক সোহাগ হোসেন (২৫) অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে প্রেমিকা তানিয়া আক্তার তুলিকে নিচে ফেলে দেওয়ায় গুরুতর আহত হয়েছিল। তখন থেকে প্রেমিক সোহাগ হোসেন পলাতক রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর গত ৩ অক্টোবর তানিয়া আক্তার তুলির পিতা তৈয়ব আলী বাদী হয়ে তার কন্যাকে অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ রাজারহাট থানায় দায়ের করেছিলেন।

পুলিশ, এলাকাবাসী এবং তুলির পিতার থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌরসভার পলাশবাড়ী পাঠানপাড়া এলাকার অধিবাসী তৈয়ব আলীর কন্যা তানিয়া আক্তার তুলি’র সাথে একই এলাকার আব্দুল হাকিমের পুত্র সোহাগ হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ অবস্থায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দু’জনে বেড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে রাজারহাট উপজেলার জয়দেব হায়াত মৌজার অচিন গাছ নামক স্থানে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় চড়ে রওনা হন। পথিমধ্যে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

এ অবস্থায় অচিন গাছে পৌঁছানোর আগে পাউলা বিলের ব্রিজ পার হওয়ার পর রাগান্বিত সোহাগ হোসেন ধাক্কা দিয়ে তানিয়া আক্তার তুলিকে চলন্ত অটোরিকশা থেকে নিচে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত তুলিকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, মৃত তানিয়া আক্তারের মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। তার মরদেহ দাফনের কার্যক্রম চলছে।