ফিফার সিদ্ধান্তে বিরোধিতা, বিশ্বকাপেই খেলবে না ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা!

বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা প্রতি দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবছে। তাদের এই চিন্তার সাথে অনেকেই একাত্মতা প্রকাশ করলেও বিরোধিতা করা দলের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এবার এই ধারণার বিপক্ষে মত দিলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার সবগুলো দল। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল জানিয়েছে, ফিফা যদি তাদের এই উদ্ভট চিন্তা থেকে সরে না আসে তাহলে বিশ্বকাপেই আর অংশগ্রহণ করবে না তাদের দলগুলো।

এদিকে ব্রাজিলই একমাত্র দল যারা ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রতিটি আসরে অংশ নিয়েছে। এছাড়া সেলেকাওদের রয়েছে ৫ বার শিরোপা জয়ের কীর্তিও, যা নেই আর কোন দলের। দক্ষিণ আমেরিকারই আরেক দেশ আর্জেন্টিনা। যাদের রয়েছে ১৫ বার কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা সেই সাথে আরও আছে দুইটি বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তিও। ম্যারাডোনা-মেসিদের দেশের ফুটবলে বুঁদ হয়ে আছে পুরো বিশ্বের কোটি কোটি সমর্থক।

একবার চিন্তা করুন, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা যদি বিশ্বকাপে অংশ না নেয় তাহলে বিশ্বকাপের অবস্থা কেমন হবে? ব্রাজিল আর্জেন্টিনা ব্যতিত বিশ্বকাপে জৌলুস যে হারাবে সে কথা বলতে আপনাকে কোনকিছুই চিন্তা করতে হবে না। যদিও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীনই হতে পারে ফুটবল দুনিয়া। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা যদি তাদের পরিকল্পনা থেকে সরে না আসে। সেই পরিকল্পনা হচ্ছে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন করা।

এদিকে ফিফা জানিয়েছিল, তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন করা। যদিও ফুটবলাররা এই প্রস্তাব শুরু থেকেই বিরোধীতা করে আসছে। কিন্তু ফেডারেশনগুলো যদি রাজি হয় তাহলে তো তাদের কিছু বলার থাকে না।

তবে এবার ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল। তারা জানিয়েছে ফিফার এই সিদ্ধান্তে তারা রাজি নয়। কনমেবলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের কোন কারণ, কোন সুবিধা বা কোন ন্যায্যতাও নেই। এই পরিকল্পনায় দক্ষিণ আমেরিকার ১০ দল যোগ দিবে না।”

এর আগে উয়েফার পক্ষ থেকেও বিরোধীতা করা হয় এই পরিকল্পনার। তারাও জানিয়েছে, যদি ফিফা দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় তাহলে সেখানে উয়েফার দলগুলো অংশ নিবে না।