ফিলিস্তিনে এক হাজার হাফেজকে বিশেষ সম্মাননা

পবিত্র কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। কোরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ বলেন, আমিই এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষক। (সূরা-হিজর, আয়াত-৯) এ কারণেই কোরআন নাজিলের যুগ থেকে আল্লাহর মনোনিত একদল পূতপবিত্র বান্দা কোরআন সংরক্ষণের কাজে নিজেকে ব্রত রেখেছেন। যাদেরকে আমরা হাফেজে কোরআন নামে চিনি।

নতুন খবর হচ্ছে, ফিলিস্তিনের বেসরকারি একটি ধর্মীয় সংস্থা দেশটির অন্তত এক হাজার হাফেজে কোরআনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ অক্টোবর) গাজায় অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে হাফেজদের বিশেষ এ সম্মাননা দেওয়া হয়। খবর আনাদুলু এজেন্সির।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাটির বিস্তারিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের শুরুতে ফিলিস্তিনের ‘দারুল কোরআনুল কারিম ওয়াস সুন্নাহ’ নামের বেসরকারি একটি সংস্থা পবিত্র কোরআনুল কারিম মুখস্থ বিষয়ক একটি ক্যাম্প ঘোষণা করে। ক্যাম্পের অধীনে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ মিলিয়ে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে ফিলিস্তিনের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক কেফিয়াহ (সাদার মধ্যে কালো ডোরাকাটা রুমাল) পরিহিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা। অধিবেশনের ফাঁকে ফাঁকে সুরেলা তিলাওয়াত ও আরবি নাশিদ গোটা অনুষ্ঠানস্থলটিকে মোহময় করে তোলে।

‘দারুল কোরআনুল কারিম ওয়াস সুন্নাহ’-এর গাজা উপত্যকার আঞ্চলিক প্রধান আব্দুর রহমান জামাল বলেন, ‘আমরা নিয়মিতভাবে হাফেজে কোরআন—যারা মূলত আল্লাহর পরিবারভুক্ত, তাদের নিয়ে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। আপনারা আজ যা দেখছেন, দুনিয়ায় তা হাফেজদের জন্য একটি সম্মান। তবে আল্লাহর কাছে তাদের জন্য এরচেয়ে উত্তম ও স্থায়ী সম্মান অপেক্ষা করছে।’

সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি