বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করে ফাইনালে নেপাল

দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত টুর্নামেন্টে আবারও নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ। মালের ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে আজকের লড়াইটি বাংলাদেশের জন্য ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। জিতলে টুর্নামেন্টের ফাইনালে, হারলে কিংবা ড্র করলে বিদায় নিশ্চিত হবে। তাই নেপালের বিপক্ষে এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অঘোষিত ‘সেমিফাইনাল’।

ম্যাচের শুরু থেকে নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলছে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের প্রথম দুই মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তপু বর্মন।

ম্যাচের ৯ম মিনিটে সুমন রেজার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক থেকে নেপালি খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে গোলমুখের সামনে যায়। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক হেডে নেপালের জালে বল জড়ালেন বাংলাদেশের সুমন রেজা।

২০১৫ সালে জাতীয় দলে ডাক পান ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে এটিই তার প্রথম গোল। এই সুমন রেজা গত মাসে কিরগিজস্থান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে দর্শনীয় দুই গোল করেন। উত্তর বারিধারার হয়ে সদ্য সমাপ্ত লিগে সুমন ছিলেন দেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে সমতায় আসার সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না নেপালের রোহিত চাঁদ। এই যাত্রায় বেঁচে গেল বাংলাদেশ।

ম্যাচের ২২ মিনিটে দারুণ সুযোগ নষ্ট করলো বাংলাদেশ। নেপালের রাজবংশীকে ফাঁকি দিয়ে নেপালের বক্সে ঢুকে পড়েন গোলস্কোরার সুমন রেজা। সেই সময় সুমনের পাসের অপেক্ষায় বক্সে ছিলেন ইব্রাহিমও। কিন্তু নিজেই শট নিতে গিয়ে এবার লক্ষ্যভেদ করতে পারলেন না সুমন।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মূল একাদশে দুই ফরোয়ার্ডকে দলে রেখেছেন বাংলাদেশ কোচ অস্কার ব্রুজোন। সাদ উদ্দিনের সঙ্গে একাদশে আছেন ফরোয়ার্ড সুমন রেজা। কার্ড জটিলতায় মালদ্বীপ ম্যাচে খেলতে না পারা দুই খেলোয়াড় রাকিব হোসেন ও বিশ্বনাথ ঘোষ ফিরেছেন একাদশে।

দুই হলুদ কার্ড দেখায় নেপাল ম্যাচে আজ খেলতে পারবেন না ভারত ম্যাচের গোলদাতা ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত। তার পরিবর্তে আজ সাফের একাদশে প্রথমবারের মতো খেলবেন ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা।