বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাল ভারতের মুসলমানরা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যে কমেছে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ আদমশুমারিই সেটা প্রমাণ করে৷ কত কমেছে সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা সংখ্যায় কেন কমেছে৷

নতুন খবর হচ্ছে, বাংলাদেশে পূজামণ্ডপ–মন্দিরসহ হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশিষ্টজনেরা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তাঁরা হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন খ্যাতিমান লেখক, অধ্যাপক, শিল্পী, সমাজকর্মী, সাংবাদিকসহ ৬০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, এ বছর দুর্গাপূজা ঘিরে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের পূজামণ্ডপ ভাঙচুর ও তাঁদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। খুনের ঘটনাও ঘটেছে। এই আক্রমণ শুধু ঘৃণ্য নয়, এই আক্রমণ সভ্যতার পরিপন্থী। মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ।

বিশিষ্টজনেরা আরও বলেন, এখনই এই আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে যুক্ত সব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াকে কর্তব্য অভিহিত করে তাঁরা অবিলম্বে এই হিংস্রতা বন্ধে রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মানুষজন যাতে পরিপূর্ণ জীবন ফিরে পান, নিরাপত্তা পান, সে বিষয়ে দেশটির সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন লেখক আবুল বাশার, অধ্যাপক মীরাতুন নাহার, জাহিরুল হক, আনসার উদ্দিন, অধ্যাপক আফরোজা খাতুন, অধ্যাপক সাইফুল্লাহ, অধ্যাপক শামীম আহমেদ, অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন, চিত্রশিল্পী তৌসিফ হক, লেখক এস এম শাহাবুদ্দিন, সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আনিসুর রহমান, লেখক হুমায়ুন রশীদ, সাংবাদিক এন জুলফিকার, সাংবাদিক সুবিদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, সমাজকর্মী রেহানা সুলতানা, গবেষক মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।