বিদ্যৎ কর্মকর্তার বাইক ধরে মামলা, ট্রাফিকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলো বিদ্যুৎ

এবার পাবনার ঈশ্বরদীতে বিদ্যুৎ বিভাগের (নেসকো) এক উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মোটরসাইকেল আটক ও জরিমানার জেরে ট্রাফিক পুলিশ অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে ট্রাফিক আইনে ওই মোটরসাইকেল আটক ও জরিমানার ৩০ মিনিটের মধ্যেই শহরের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ অফিসের বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

এ ব্যাপারে পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট আজিজুল ইসলাম জানান, পোষ্ট অফিস মোড়ে বুধবার বিকেল থেকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মোটর সাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন চেকিং চলছিল। এ সময় একটি হিরো মোটরসাইকেল আটক করে কাগজপত্র চাওয়া হয়। মোটরসাইকেলের কোনও কাগজ এবং আরোহীর হেলমেট না থাকায় বিধি মোতাবেক তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং মোটর সাইকেলটি আটক করা হয়।

তিনি আরো জানান, মামলার ৩০ মিনিটের মধ্যেই অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আটক মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন ঈশ্বরদী নেসকোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেল মিঞা।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, অনাকাঙিক্ষত একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল পেলে কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না।

এ সময় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিলের টাকা সরকারি কোষাগার থেকে পরিশোধ করা হয়। অর্থ বরাদ্দ আসার পর জরিমানা দিয়েই পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এর আগেও একইভাবে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। জরুরি গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ বিভাগের একটি অফিসে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা অনাকাঙিক্ষত ও অনভিপ্রেত বলে জানান তিনি।

এদিকে নেসকোর ঈশ্বরদীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল নূর তার অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেল মিঞার মোটর সাইকেল আটকের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, যাদের বিল বকেয়া আছে, তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। মোটরসাইকেল জরিমানার ঘটনার সঙ্গে ট্রাফিক অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কোনও সম্পর্ক নেই।