বিশ্বকাপে দানব শিকারে প্রস্তুত বাংলাদেশঃ আইসিসি

‘ক্রিকেট ইজ অ্যা জেন্টলম্যান’স গেইম’ বলে একটি কথা আছে। কিন্তু কোথাও লেখা দেখিনি বা শুনিনি যে ‘ক্রিকেট ইজ এ ফানি গেইম’। তবে অনেকেই মনে করে ক্রিকেট একটি মজার খেলা। আসলে মনে করাটাই স্বাভাবিক, কেননা ডব্লিউ জি গ্রেসের মতে এই আধুনিক ক্রিকেটটা আসলেই কয়েক’শ কোটি মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে।

নতুন খবর হচ্ছে, রোববার থেকে শুরু হচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। মাঠের খেলা শুরুর আগে অংশগ্রহণকারী সব দলের সম্ভাবনা-সামর্থ্য নিয়ে প্রতিবেদন করেছে আইসিসি। শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের প্রিভিউ প্রতিবেদন।

সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে ‘এখন আর আন্ডারডগ নয়, বিশ্বকাপে দানব শিকারে প্রস্তুত বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশ দল যে এখন আর শুধুই অংশগ্রহণের জন্য বিশ্বকাপ খেলতে যায় না, সে বিষয়টিই উল্লেখ করেছে আইসিসি। পাশাপাশি বিশ্বকাপে টাইগারদের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

আইসিসির প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হলো:

তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে ক্রমাগত উন্নতির মাধ্যমে নিজেদের ওপর থাকা আন্ডারডগ তকমাটি সরানর কাজটি সফলভাবেই করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি তাদের জন্য বড় একটি সুযোগ, এই ফরম্যাটে নিজেদের অগ্রযাতা ও উন্নতি প্রদর্শনের।

বছর নয়টি টি-টোয়েন্টি জয়ের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপটি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। তাদের চেয়ে বেশি ১২টি জয় রয়েছে শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা। গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ হারের পর থেকে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এসময় জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তারা।

বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের বি গ্রুপে ফর্মে থাকা বাংলাদেশই ফেবারিট। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। রোববার (১৭ অক্টোবর) স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অতীত পরিসংখ্যান খুব একটা ভালো নয় বাংলাদেশের জন্য। ২০০৭ সালের প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার এইটে উঠেছিলো তারা। কিন্তু ২০০৯, ২০১০ ও ২০১২ সালের আসরে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। পড়ে ২০১৪ ও ২০১৬ সালের আসরে প্রথম পর্বে দুইটি করে জয় পেলেও, সুপার টেনে হেরেছে সব ম্যাচ।