বিশ্বকাপে ভারতকে চাপে ফেলতে দুই জনকে আউট করতে বললেন উমর গুল

এবার ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকতে কদিন আগে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। এবার মাঠের লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাস্ত করার কৌশল বলে দিলেন ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী উমর গুল। আগামী ২৪ অক্টোবর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান।

গত ২০১৯ সালের জুনের পর প্রথমবার মাঠে দেখা হচ্ছে তাদের। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপে নীল জার্সিধারীদের বিপক্ষে তাদের রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। সাতবার পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে ও পাঁচবার কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়ে প্রত্যেক ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। এবারও তাই ফেভারিট হিসেবে তাদের মুখোমুখি হবে ভারত।

এদিকে গুলের পরামর্শ, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে আগেভাগে আউট করতে পারলেই পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে রোহিত ১৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন, কোহলি করেন ৮৫ রান। তাতে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান করেছিল ভারত। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পাকিস্তান থামে ৬ উইকেটে ২১২ রানে। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যানচেস্টারে সেদিন তারা হেরে যায় ৮৯ রানে।

কোহলি আর রোহিতকে বোতলবন্দি করে রাখলে কাজ সহজ হবে মনে করছেন গুল, ‘ভারত তাদের দল নিয়ে সত্যিই অনেক কাজ করেছে এবং বাস্তবেই তারা খুব শক্তিশালী। আইপিএল তাদের সুবিধা করে দিয়েছে এবং অনেক খেলোয়াড় পেয়েছে। তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে তাকান, তাহলে বুঝবেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি তাদের প্রধান খেলোয়াড়। তারা ভারতের টপ অর্ডারের অংশ। তাদের আউট করো এবং ভারত চাপে পড়বে। পাওয়ার প্লের মধ্যে পাকিস্তান যদি তাদের ২-৩ জন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে পারে, তাহলে বাকি ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’

এদিকে শেষবার ভারত, পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৬ সালে। ইডেন গার্ডেন্সে সেদিন ১১৯ রানের লক্ষ্য ভারত পূরণ করেছিল কোহলির অপরাজিত ৫৫ রানের সুবাদে। ম্যাচটি স্বাগতিকরা জিতেছিল ৬ উইকেটে।

তাছাড়া বাবর আজমদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে দুই দিন আগে গুল বলেছিলেন, ‘ভারত ম্যাচ নিয়ে বাড়তি চাপ থাকবে। কারণ পুরো দেশ চায় পাকিস্তান ক্রিকেট দল তাদের হারাক। আমার পরামর্শ হলো, খেলোয়াড়দের উচিত হবে তাদের স্নায়ুর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং চাপে ভেঙে পড়া চলবে না। কারণ এটা হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। আমি আরেকটি উপদেশ দিতে চাই, দুই-তিন দিন আগে, বিশেষ করে ভারত ম্যাচের আগে, সোশ্যাল ও বিতর্কিত মিডিয়াগুলি এড়িয়ে যাওয়া উচিত খেলোয়াড়দের।’