ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমিকের থাপড় খেয়ে আত্মহত্যা করল নার্স

কাউকে ভালোবাসা আর কারো প্রতি প্রেমে পড়া আসলে এক বিষয় নয়। কাউকে ভালবাসা এবং কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া একই রকম অনুভূতি কিন্তু তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান পার্থক্য রয়েছে।

নতুন খবর হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলি এলাকার দি আল ফালাহ হাসপাতাল থেকে সোনিয়া আক্তার (২০) নামের এক সহকারী নার্সের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সোনিয়া আক্তার জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের আজিজুর রহমানের মেয়ে। তিনি শহরের একটি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই হাসপাতালে সহকারী নার্সের কাজ করতেন।

জানা গেছে, সোনিয়া আক্তার প্রায় তিন বছর আগে আল ফালাহ হাসপাতালে সহকারী নার্সের পদে যোগদান করেন। এর পাশেই রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। স্কুলটির স্টাফ মোহাম্মদ শীতলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শীতলের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার নেমতাবাদে। গত দুই বছর যাবত তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।

সম্প্রতি শীতল জানতে পারেন, সোনিয়ার আরও একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহ থেকে দুজনের মাঝে মনোমালিন্য চলছিল। রোববার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তারা জেলা শহরের দাতিয়ারার ফারুকী পার্কে দেখা করেন। এ সময় সোনিয়াকে আরও একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করেন শীতল। যার কারণে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোনিয়াকে একটি থাপড় দেন শীতল। এরপর সোনিয়া তার হাসপাতালে গিয়ে চালে দেওয়ার কেড়ির ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় প্রেমিক শীতলকে আটক করেছে পুলিশ।