মেক্সিকোতে গাঁজার মেলা; নিয়মিত খাবারের তালিকায়ও গাঁজা চান উদ্যোক্তারা

মাদক আসলে কি ? শাব্দিক অর্থে মাদক বলতে বুঝায় ড্রাগ, হেরোয়িন, প্যাথেডিন, আফিম, হাসিস ইত্যাদি। মাদক এমন একটি ভেষজ দ্রব্য যা ব্যবহারে বা প্রয়োগে মানবদেহে মস্তিস্কজাত সংজ্ঞাবহ সংবেদন হ্রাসপায় এবং বেদনাবোধ কমায় বা বন্ধ করে।

নতুন খবর হচ্ছে, মেক্সিকো সিটিতে ওষুধসহ নানাভাবে গাঁজার ব্যবহার নিয়ে রীতিমতো আয়োজন করা হয়েছে একটি মেলা। আয়োজকরা বলছেন, গাঁজা নিয়ে প্রচলিত ধারণা ভাঙাতেই এ উদ্যোগ। তারা এই পাতার ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানাতে চান মানুষকে।

অদ্ভুত শোনালেও সত্যি, মেক্সিকো সিটির প্রাণকেন্দ্রে বসেছে গাঁজার হাট। এক্সপো উইড মেক্সিকো-২০২১ এর ভেন্যুতে গাঁজার তৈরি নানা পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা।

আয়োজকরা বলছেন, সাধারণভাবে গাঁজা নিয়ে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, তবে এর উপকারী দিকও কম নয়। গাঁজাকে নিত্যদিনের খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করছেন তারা। মেলায় বিভিন্ন স্টলে ঘুরলে দেখা যাবে, রোগ নিরাময়ে ভূমিকাসহ গাঁজা পাতার নানা ভেষজ গুণের প্রচার করছেন তারা।

সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে বাড়িতে গাঁজা চাষ ও ব্যবহারে বৈধতা দিয়েছে মেক্সিকো প্রশাসন। লক্ষ্য মাদক সংক্রান্ত অপরাধ হ্রাস। তবে প্রচলিত আইন মাদক চোরাকারবার বন্ধে যথেষ্ট নয় বলে দাবি মেক্সিকোর ক্যানাবিস ট্রাস্ট ফান্ডের।

ওই অনুষ্ঠানে আগত লোকজন বলছেন, বছরের পর বছর এই গাছ নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। একইসাথে বিতর্ক আর দ্বিধাও আছে। এখানে আসলে মানুষ প্রচলিত ধারণা ভাঙতে পারে। মাদক হিসেবে চিত্ত বিনোদনের জন্যই নয়, এর ভেষজ গুণের কথা জানতে পারবে।

দেশটির ক্যানাবিস ট্রাস্ট ফান্ড সিইও জিয়াংসু ওংপেক বলেন, এখন এটা ব্যবহারের বৈধতা আছে, তবে বেঁচাকেনার বৈধ স্থান নেই। উৎপাদনের স্বাধীনতা আছে তবে বীজ কেনার জায়গা নেই। এর ফলে চোরাকারবারের একটা সুযোগ থেকে যাচ্ছে। তাই আইনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।