যানজটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নভঙ্গ তিথির

শরীর থেকে আত্মাত্যাগে শুধু মানুষের মৃত্যু হয় না। স্বপ্নভঙ্গ হয়ে স্বপ্নহীন জীবন-যাপন বা জীবনের উদ্দেশ্য না থাকলে মানুষের মৃত্যু অনেক আগেই হয়ে যায়।

নতুন খবর হচ্ছে, যানজটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ভেঙে গেল গোপালগঞ্জের তিথি রায়ের। নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি সে। স্বপ্ন ভাঙার নিদারুণ কষ্টে কেন্দ্রের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিথি। পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে স্থান ত্যাগ করে তিথি ও তার স্বজনরা।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। কিন্তু রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের কারণে ভর্তিচ্ছু তিথি কেন্দ্রের গেটে এসে পৌঁছায় ১১ টা ২৫ মিনিটে। ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী দেরি করে আসায় তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি সেখানে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির সদস্যরা।

এভাবে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় হতবিহ্বল তিথি দুহাতে মুখচেপে কাঁদতে থাকে। তার অভিভাবক এবং আশেপাশের কয়েকজন ঢাকা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিত শিক্ষকদের বোঝাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শেষমেশ রাগে-ক্ষোভে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে স্থান ত্যাগ করে তিথি।

তিথির মা গীতা রায় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের পর থেকে দিন-রাত পড়াশোনায় ব্যস্ত থেকেছে তিথি। আজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে খুব সকালে গোপালগঞ্জ থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। কিন্তু বরিশাল নগরীর চৌমাথা ও সাগরদি এলাকায় দুই দফায় যানজটে আটকে পরার কারণে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।