রাসেলের স্বপ্ন ছিল সেনা কর্মকর্তা হবে: প্রধানমন্ত্রী

মৃত্যু” এক নির্মম, কঠিন বাস্তবতার নাম। মৃত্যু এমন এক মেহমান, যে দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই! মৃত্যু যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষের সামনে, যেকোন সময়ে উপস্থিত হতে পারে!

নতুন খবর হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে রাসেলের জীবনে কোনও দাবি ছিল না বলে জানিয়েছেন তারই বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘রাসেলের একটাই স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে সেনা কর্মকর্তা হবে।’

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দিকে চাচার লাশ, ওই দিকে কামালের লাশ, আব্বার লাশ। মায়ের লাশ। সব মাড়িয়ে ওপরে নিয়ে রাসেলকে সবার শেষে নির্মমভাবে হত্যা করে। অথচ রাসেল ছোটবেলা থেকে এত সহজ-সরল ছিল।’

শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাসেল আমাদের সবার ছোট। ১৯৬৪ সালে তার জন্ম। বেঁচে থাকলে এখন ৫৭ বছর বয়স হতো। কিন্তু মাত্র ১০ বছরে বয়সে তাকে হারিয়ে যেতে হলো ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে। আমার হাত ধরেই কিন্তু রাসেল হাঁটা শিখে। আমরা পাঁচটা ভাইবোন ছিলাম। সে আমাদের চার জনের অত্যন্ত আদরের। কিন্তু বাবার স্নেহবঞ্চিত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখনও চেষ্টা করেছি, এখনও চেষ্টা করি, এই দেশের শিশুরা তাদের লেখাপড়া, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, তারা যেন নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে। আজকে যেমন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ, সেইটা তৈরি করার জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করা, তাদেরকে ট্রেনিং দেওয়া, সব রকম ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’