রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম ১৯৭৮ সালে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী এ দেশে এসেছিল। কিন্তু সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের যে ঢল এ দেশে এসেছে, এমনটা আগে কখনো হয়নি।
নতুন খবর হচ্ছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের আমরা দাওয়াত করে আনিনি। তারা অন্য কোথাও চলে যেতে চাইলে যাক।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা ভাসানচর ও ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য ইন্টারনেট খুলে দিয়েছি। তারা এখন সেই ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ইন্টারনেটে তারা বিদেশে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন। এখানে (বাংলাদেশে) তারা কেন থাকেন, তা নিয়ে তাদের আত্মীয়রা রাগারাগি করেন। সে কারণে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা তো আর রোহিঙ্গাদের দাওয়াত করে আনিনি। তারা নিজের দেশে বা অন্য কোথাও যেতে চাইলে, যাক। সেটা আমাদের সমস্যা নয়।
তিনি বলেন, ক্যাম্পের বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গারা পালিয়ে গেলে আমরা তাদের ফেরত নিয়ে আসি। ভাসানচরে যেকোনো সময় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর যাবে। দিনক্ষণ আমি জানি না। তবে এটা ফাইনাল হয়েছে।