লেগ স্পিনার না খেলালে, জিতলেও পয়েন্ট হারাবে দলগুলো: সুজন

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে সুজন অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে লেগ-স্পিনারের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একাদশে লেগ স্পিনার না খেলালে পয়েন্টও হারাবে দলগুলো জানিয়ে রাখলেন খালেদ মাহমুদ।

বিগত কয়েক বছরে কয়টা লেগ-স্পিনার খুঁজে বের করতে পেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড? হাতেগোনা দু-একটাই সামনে এসেছে। এদেশের ক্রিকেটের জন্য লেগ-স্পিনার যে বড্ড প্রয়োজন তা আর বলার বাকি রাখেনা। এই তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেখানে সব দলেই অন্তত একজন লেগ-স্পিনার রয়েছে, সেখানে লেগ-স্পিনার ছাড়াই খেলবে বাংলাদেশ।

আর তাই তো সেই খরা কাটাতে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে জোর দিতে চান বিসিবির পরিচালক ও বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে দায়িত্বরত খালেদ মাহমুদ। পরিকল্পনা করে এগোতে চাইলেও বাস্তবায়ন অনেক কঠিন মানছেন তিনি।

“আমরা তো রীতিমত প্ল্যান পরিবর্তন করি, প্ল্যান ডেভেলপ করি। পরিকল্পনা তো অনেক করা যায়, বাস্তবায়ন করাটা অনেক কঠিন আমাদের জন্য। আমরা চিন্তা করেছি যে আমরা তো অনূর্ধ্ব-১৮ তে গিয়ে ওআইসিএলটা খেলি, কিন্তু আমরা অনূর্ধ্ব ১৪/১৬ তে এখন থেকে ২-৩ দিনের ম্যাচগুলা খেলার চেষ্টা করবো। যেটা আমরা ওআইসিএল করি সেটা আমরা অনূর্ধ্ব-১৬ তে তিন দিন এবং ১৪তে দুইদিনের করবো।”

লেগ-স্পিনার খুঁজে পেতে বিপিএলে প্রতি দলের একাদশে একজন লেগ স্পিনার খেলানো বাধ্যতামূলক করেছিল বিসিবি। তবে তারপরও যেন সেই পরিকল্পনা কাজে আসেনি বিসিবির। এবার বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে একাদশে নিয়মিত একজন লেগ স্পিনার চান খালেদ মাহমুদ। লেগ-স্পিনার না খেলালে শাস্তির কথাও জানিয়ে রেখেছেন তিনি।

“একটা বাধ্যবাধতা করব আমরা দরকার পড়লে এসব খেলা সুপারসাব দিবো শুধু একটা লেগ-স্পিনারের জন্য। যেন একটা লেগ-স্পিনার খেলাতে বাধ্য এবং সে ২০ ওভার করবে প্রতি ইনিংসে। তা না করলে ওই দল জিতলেও পয়েন্ট পাবে না। আমি ডেভেলপমেন্টে এটাই বুঝানোর চেষ্টা করি কোচদেরকে যে এখানে কে জিতল, কে হারল তা মুখ্য বিষয় নয়। এটা ডেভেলপিং প্লেয়ার্স। ওটাই আমি আজকেও ওদের মনে করিয়ে দিয়েছি। খুব সম্ভবত এটিই আমরা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি।”