নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। পরাজয়ের শক্ত ভিত্তিই তৈরী করে দেবে কাঙ্খিত বিজয় অর্জনের প্রেরণা। অনেক প্রার্থী বলে থাকেন ফলাফল মেনে নেওয়ার মানসিকতা আছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন।
নতুন খবর হচ্ছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা মাগুরার জগদলের ৪ খুনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে এ ঘটনায় নিরীহ জনগণ যেন হয়রানির স্বীকার না হয় সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে বলেছেন।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত আইন শৃংখলা বিষয়ক সভার প্রাক্কালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় প্রশাসনকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। এটা আমরা সব সময় চাই এবং সেটা হচ্ছেও। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই প্রতিহিংসা পরায়ণ কার্যক্রম এবং এ রকম নৃসংশভাবে জীবন চলে যাওয়া এটা খুবই একটা অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত। এ ঘটনাার আমরা তিব্র নিন্দা জানাই। যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাদের পরিবার পরিজনকে আমাদের শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই। একটা পরিবারের একজন সদস্য এভাবে মৃত্যুবরণ করলে সেটা কত বেদনাদায়ক তা তারাই বুঝতে পারে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে সব কিছু হয় না। প্রশাসন চলে আইন কানুনের মাধ্যমে। যারা এলাকায় থাকেন সামাজিকভাবে তাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরো বলেন, যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরকে চিহিৃত করা হোক। কোনো নিরপরাধী ব্যক্তিকে যেন এর সাথে সম্পৃক্ত না করা হয়। তাদের যেন দোষারোপ করা না হয়। সে ব্যাপারে অত্যন্ত ভেবে চিন্তে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে। যারা প্রকৃত আসামি ও দোষী তদন্তের মাধ্যমে কেবলমাত্র তাদেরকে আইনের মুখোমুখি দাড় করাতে হবে।
তিনি নির্বাচন বিষয়ে বলেন, প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ সকালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনী আচরণ মেনে চলে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা চাই নির্বাচন সবসময় ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে। যে যার অবস্থানে থেকে প্রচার-প্রচারণা চালাবে সেখানে কেউ বাধা দিতে পারবে না। সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য আচরণবিধি তৈরি করা আছে। সেটা যদি মেনে চলে তাহলে সংঘাতের কোনো কারণই থাকতে পারে না।