সমালোচকদের একহাত নিলেন মাহমুদউল্লাহ, বাদ যাননি বিসিবি সভাপতিও

প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেদিন আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটির কাছে মাহমুদউল্লাহরা যেভে অসহায় আত্মসমপর্ণ করেছিলেন, তা লজ্জাজনকই বটে। পরের দুই ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। এই আনন্দের মুহূর্তেও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মুখ ছিল ভার। কারণ গত কয়েকদিন তাদের যে সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে, সেটা রীতিমতো সীমা লংঘন করেছে। মাহমুদউল্লাহ তাই ক্ষোভ প্রকাশ করতে ছাড়েননি।

গত ১৭ অক্টোবর সেই দুঃসহ দিনের পর মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি ক্রিকেটারদের পরিবারকেও আক্রমণ করে বসে। যা রীতিমতো অন্যায়। এমনকী ১৮ অক্টোবর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন স্কটল্যান্ডের কাছে হারের জন্য সরাসরি তিন সিনিয়র- সাকিব, মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহর ধীরগতির ব্যাটিংকে দায়ী করেন। অথচ এই সাকিব-মাহমুদউল্লাহই গতকাল রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন।

গতকাল ম্যাচ শেষে সমালোচকদের একহাত নেন মাহমুদউল্লাহ। বাদ যাননি বিসিবি সভাপতিও। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আজকে ভালো খেলছি বলে সবার কাছে মনে হবে ভালো। আবার এক ম্যাচে খারাপ করলে খুব বেশি করে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে। অনেক প্রশ্ন এসেছে। আমাদের ব্যাটিংয়ের স্ট্রাইক রেট প্রসঙ্গে। আমাদের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট নিয়ে। আমরা তো চেষ্টা করেছি। চেষ্টার বাইরে তো আমাদের কাছে কিছু নেই। এরকম না যে আমরা চেষ্টা করিনি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু ফল আমাদের পক্ষে আনতে পারিনি।’

এ সময় মাহমুদউল্লাহ আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিনে যা হলো… ঠিক আছে, আমরা মানুষ, আমরা ভুল করি। এ কারণে একেবারে ছোট করে ফেলা ঠিক নয়। এটা আমাদের দেশ। আমরা যখন খেলি, পুরো দেশ একসঙ্গে খেলি। এটা মাথায় থাকে সবসময়। আমাদের চেয়ে ফিলিংস কারও বেশি নয়, আমার মনে হয়। সমালোচনা অবশ্যই হবে, খারাপ খেলেছি। তবে একেবারেই ছোট করে ফেলা ঠিক নয়। আমাদের সবার কাছেই খারাপ লেগেছে।’

এ সময় সমালোচকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরাও মানুষ। আমাদেরও অনুভূতি কাজ করে। আমাদের পরিবার আছে। আমাদের বাবা-মায়েরাও বসে থাকে টিভির সামনে। বাচ্চারাও বসে থাকে। তারাও মন খারাপ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো এখন মানুষের হাতের নাগালে। সবার মোবাইলে আছে। সমালোচনা তো হবেই। আমরাও আশা করি, সমালোচনা হোক। খারাপ খেলেছি, অবশ্যই সমালোচনা হবে। কেন হবে না? কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে যদি কেউ কাউকে ছোট করে ফেলে, তখন সেটা খারাপ লাগে।’