হাসল ইমরুলের ব্যাট, জয় পেল এ দল

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে ইমরুল অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও বিসিবি এইচপি দলকে পরাজিত করল বাংলাদেশ এ দল। আগে ব্যাটিং করে এইচপি দল সংগ্রহ করে ১৯২ রানে। জবাবে ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে সহজেই ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ‘এ’ দল। এইচপির দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুনিম শাহরিয়ার ও তানজিদ হাসান তামিম করেন যথাক্রমে ৯ রান ও ১২ রান। পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৬১ বলে ৪১ রান, যা এইচপির ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় করেন ২৮ বলে ২৪ রান।

শাহাদাত হোসেন দীপুর ব্যাট থেকে আসে ৫৯ বলে ৩৪ রান। সুমন খান করেন ৪৬ বলে ২৭ রান। নাঈম-তাইজুলদের সামনে এইচপির তরুণরা অলআউট হয় ১৯২ রানে। নাঈম ৩০ রান খরচায় ৩ উইকেট এবং তাইজুল ৪২ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। রাকিবুল হাসান ২৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নাজমুল হোসেন শান্ত ২৮ বলে ২২ রান, সাদমান ইসলাম ১১ বলে ৫ রান, ইরফান শুক্কুর ১৫ বলে ২১ রান ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ২১ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৮১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পরও ‘এ’ দলকে জয়ের পথে রাখেন ইমরুল ও মোসাদ্দেক। ৫৪ বলে ৪৯ রান করে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর শিকার হন ইমরুল। ১৩২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় দল। ইয়াসির আলির সাথে ৫১ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মোসাদ্দেক।

দলকে জেতানোর পথে ঝড়ো অর্ধশত রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৬৪ রানে। স্ট্রাইকরেট ১৩৩.৩৩। তার ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। ইয়াসির খেলেন ১৯ বলে ২১ রানের হার না মানা ইনিংস। ফলে ১৭ ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটের বড় জয় পায় ‘এ’ দল। এইচপির পক্ষে ২টি উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব।