৬ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়া সেই শিক্ষক কারাগারে

সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজির দিঘির পাড় আলিম মাদ্রাসার ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেওয়া শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) জেলার হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক তাকে কারাগারে নেওয়ার আদেশ দেন।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী ছাত্র শাহাদাত হোসেনের মা শাহেদা বেগম বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। এরপর ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে তিনি বলেন, ‘ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে তোলা হবে।’ গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজির দিঘির পাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। মঞ্জুরুল কবির হামছাদী কাজির দিঘির পাড় আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও বামনী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ওই মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ক্লাসে এসে শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ছয় ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে সামনের বারান্দা আসতে বলেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একটি কাঁচি এনে একে একে সবার মাথার টুপি সরিয়ে সামনের চুল এলোমেলোভাবে কেটে দেন। পরে তারা লজ্জায় ক্লাস না করেই বেরিয়ে যায়। ঘটনার এক মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে কয়েকজন ছাত্রকে কান্না করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রোটারিয়ান রফিকুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষকদের সচেতন করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীদের কোনও অভিভাবকই আমাদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেনি। শিক্ষককে গ্রেফতার না করে, ভবিষ্যতের জন্য সচেতন করে ছেড়ে দেওয়া যেতো।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’