৭ দিনের রিমান্ডে সেই ইকবাল

সম্প্রতি কুমিল্লার ঘটনায় ধর্ম অবমাননা মামলার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেনসহ চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ট্রিপল নাইনে ফোন দেওয়া ইকরাম, ঘটনাস্থল থেকে লাইভ দেওয়া ফয়েজ, সিসিটিভির ফুটেজে শনাক্ত হওয়া মাজারের আরও দুই ব্যক্তি- সবাই এখন রিমান্ডে রয়েছে।

এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, শুধু নানুয়ারদীঘির পাড়ের মন্দিরেই নয়, আরও একটি মন্দিরের ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন ইকবাল।

তদন্ত সূত্র বলছে, নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে শুরুতে ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ইকবাল হোসেন। পূজামণ্ডপটিতে শুরুতে ইকবাল লোকজন দেখে মিশন সফল না করে ফিরে আসেন।

এরপর তিনি গিয়েছিলেন ওই মণ্ডপের অদূরে দিগম্বরীতলার গুপ্ত জগন্নাথ মন্দিরে। সেখানে গেটের তালা ভাঙতে ব্যর্থ হন ইকবাল। এরপর আবার ফিরে আসেন নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে। সেখানে ওই সময় লোকজন না থাকার সুযোগ নিয়ে তিনি কোরআন শরিফ রেখে যান।

এদিকে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার হওয়ার পর শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে এসে পৌঁছায় তাকে বহনকারী মাইক্রোবাস। এর আগে তাকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লার পথে রওনা হয় পুলিশ।