জমজমাটভাবেই যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এর মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্রমবর্ধমান বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুর দুই আসরে নানা অনিয়ম ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কারণে হঠাতই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বিপিএল।
নতুন খবর হচ্ছে, দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের উন্নতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগামী আসরে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় বিসিবি। এজন্য একাদশে বিদেশি ক্রিকেটারের সীমা কমানোর পরিকল্পনা করছে বোর্ড।
বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, একাদশে একজন করে দেশি ক্রিকেটারকে বেশি সুযোগ দিলে দেশের ক্রিকেটই উপকৃত হবে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বিপিএলের প্রতি একাদশে সর্বোচ্চ ৪ জন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আগে এক দলে ৪ জন বিদেশি খেলত, এটা কম-বেশি করা যায় কি না ভাবা হচ্ছে। একজন বিদেশি কমিয়ে যদি দেশি খেলোয়াড় একজন বেশি খেলানো হয় তাহলে আমরা উপকৃত হব।’
দেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পাশাপাশি আলোচনা চলছে বিপিএলের উইকেটের মান আরও ভালো করার বিষয়েও। একইসাথে অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও ভালো মানের উইকেট ব্যবহার করতে চায় বোর্ড।
জালাল বলেন, ‘শুধু বিপিএল না, সব টুর্নামেন্টে আমরা ভালো উইকেট চাই। বিপিএলে যাতে প্রচুর রান করতে পারে এজন্য ভালো উইকেট করা হবে, স্পোর্টিং উইকেট, বাউন্সি উইকেট। এই ভাবনা আছে টুর্নামেন্ট কমিটির, উনারা জানেন কী ধরনের উইকেট হওয়া উচিৎ।’
আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। সেই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বোর্ড কাজ করছে বলেও জানান তিনি।