আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন চান অনেকে। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়া করা যাবে না, ধৈর্য ধরতে হবে- এই আহ্বান জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
নতুন খবর হচ্ছে, বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর টি-টোয়েন্টি দলে পরিবর্তন আসছে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই। পাকিস্তান সিরিজে হোক কিংবা পরের সিরিজে, এই দলের হাল ধরবেন তরুণরা- সেই আভাস মিলেছে ইতোমধ্যে। আর দলে আসা তরুণদের নির্ভীকভাবে খেলার সার্টিফিকেট দিতে চান টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
টিম ডিরেক্টর হিসেবে রবিবার (৭ নভেম্বর) দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন সুজন। প্রথম দিনে অনুশীলন করিয়েছেন ৭ ক্রিকেটারকে, যারা টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ছিলেন না কিন্তু পাকিস্তান সিরিজের ভাবনায় আছেন। জাতীয় দলের কোচরা নিজ নিজ দেশে ছুটি কাটালেও দেশসেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে নিয়ে সুজনের এই পরিশ্রমের একটাই কারণ, স্কোয়াডের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের যেন আগামীর জন্য তৈরি রাখা যায়।
এই ৭ ক্রিকেটারের মধ্যে ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী পারভেজ হোসেন ইমন ও তৌহিদ হৃদয়। দুইজনই পাকিস্তান সিরিজের দলে জায়গা পাবেন কি না তা সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত তারা যে জাতীয় দলের রাডারে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
তাদের বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপচারিতায় মেতে উঠলেন সুজন। জানালেন, ইমন-হৃদয়ের মত তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে হবে, ‘তাদের সময় দিতে হবে। জাতীয় দল এমন একটা জায়গা, যা ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে অনেক ওপরে (মানের দিক দিয়ে)। এখানে এসেই যে একটা ছেলে হঠাৎ করে অনেক কিছু করে ফেলবে এমন নয়। ছেলেদের যাচাই করতে হবে। একটি বা দুটি সিরিজ দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না।’
দলে জায়গা না হারানোর অভয় পেলে নির্ভীকভাবে খেলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুজন সেই অভয়টাই দিলেন তরুণদের। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের এই সাহসটা দিতে চাই। সাক্ষাৎকার দিলে সবসময় স্বাধীনতার কথা বলি। ঐ সাহস তাদের দিতে চাই। তাদের সমর্থন দিতে হবে। সাহস নিয়ে যেন খেলতে পারে।’