পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে সোমবার (২২ নভেম্বর) মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।
শেষ ম্যাচে ব্যবধান কমানোর সুযোগ টাইগারদের। মনোসংযোগে ঘাটতি বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। তিন ডিপার্টমেন্টেই নড়বড়ে পারফরম্যান্স। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দুইটায়। সরাসরি ম্যাচ দেখা যাবে টি-স্পোর্টস এবং গাজী টিভিতে।
ব্যাটারদের শট সিলেকশন, বোলারদের লাইন লেন্থ, সব খানেই গলদ। হাতের মুঠোয় বলটাও জমে না, থ্রোয়িংয়ে ব্যাকআপ থাকে না, ফিল্ডিংয়ে মনোযোগ নড়ে যায়।
একটা ম্যাচে তিন ডিপার্টমেন্টেই অচেনা বাংলা। কেন হচ্ছে এমনটা? ক্রিকেটারদের পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টের দায় কতটা? ফিরে যাই মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্বকাপে। ছোট ফরম্যাটে লিটনের ব্যাট চুপসে গেছে। টানা ফ্লপ, যার প্রভাবটা পড়ে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে।
লঙ্কানদের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাউন্ডারি লাইনে লিটনের একাধিক ক্যাচ মিস। ব্যস, হাত থেকে ফসকে গেছে জেতা ম্যাচ।
ঠিক একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি শনিবার মিরপুরে। জোড়া ম্যাচেই ব্যাট হাতে নড়বড়ে, সমালোচনার তুঙ্গে সাইফ হাসান।
হয়তো ব্যাটিং ব্যর্থতা ভাবনা জুড়েই ছিল। তাইতো লিটনের মতোই বাউন্ডারি লাইনে সহজ ক্যাচ ছেড়ে প্রমাণ দিলেন মনোসংযোগে বড্ড ঘাটতি।
ঘটনাগুলোতে পরিষ্কার, দর্শকদের দুয়োধ্বনি আর চাপকে জয় করতে ব্যর্থ। ব্যাটিং কিংবা বোলিংটা খারাপ হলে, সরাসরি প্রভাব পড়ে ফিল্ডিংয়ে। ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দল।
অনেকেই বলছেন, স্কিল ঘাটতির চেয়েও বর্তমানে টাইগারদের পিছিয়ে থাকার বড় কারণ হতে পারে মেন্টাল ফিটনেস। মানসিকভাবে বড্ড বিপর্যস্ত গোটা স্কোয়াড।
তাইতো, কোচিং ইউনিটের তৎপরতার চেয়েও, বড় ওষুধ হতে পারেন একজন মোটিভেটর কিংবা মনোবিদ।
ক্যাপ্টেইন ফ্যান্টাস্টিক, সবার প্রিয়। চলতি সিরিজ শেষে মোটিভেটর হিসেবে মাশরাফীকে কাজে লাগাতে পারে বিসিবি।
অতীতের নানা সময়ের মতো মনোবিদের সার্ভিসটা নিতে পারে ক্যানাডা প্রবাসী আলী খানের কাছ থেকেও।
নতুন বছরে, নতুন শুরুর জন্যে ভিন্ন ছকেই আগাতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিকে। টাইগার ফলোয়াররা আশায় আছে, দুরন্ত দুর্বার ক্রিকেট দেখতে।