নটরডেম শিক্ষার্থী নাঈমকে চাপা দেয়া গাড়ির চালক ৩ দিনের রিমান্ডে

মৃত্যু” এক নির্মম, কঠিন বাস্তবতার নাম। মৃত্যু এমন এক মেহমান, যে দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই! মৃত্যু যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষের সামনে, যেকোন সময়ে উপস্থিত হতে পারে!

নতুন খবর হচ্ছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চালক রাসেল খানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে পল্টন থানা-পুলিশ ওই চালককে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায়। পরবর্তীতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে দুপুরে পল্টন থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে মতিঝিল বিভাগের ডিসি আব্দুল আহাদ জানান, গ্রেফতার চালক রাসেল খান সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত নয়। তার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। ময়লাবাহী গাড়ির নিয়োগপ্রাপ্ত চালক হারুন গাড়িটি রাসেলকে চালাতে দেয়। প্রকৃত চালক হারুনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আহাদ বলেন, ঘটনার দিনই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাবার সময়ই টহল পুলিশ ও পথচারীরা ড্রাইভার রাসেল ও দুই পরিচ্ছন্নকর্মীকে আটক করে। ড্রাইভারকে আটক করা হয়নি এমন গুজবের সুযোগ নেই বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

প্রসঙ্গত, ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে গুলিস্তানে রাস্তা পার হওয়ার সময় ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় নাঈম হাসানের। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নাঈমকে পুলিশ ও পথচারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।