পরীমনির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া ডিএমপি’র গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের অসদাচরণের সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটি। চলতি সপ্তাহেই তদন্ত কমিটি সাকলায়েনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেবে।
কোনো পুলিশ কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাকে ৪টি শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। এরমধ্যে রয়েছে, ব্ল্যাক মার্ক, মৌখিক সতর্ক, তিরস্কার এবং পদোন্নতি আটকে দেয়া। এই ৪টি শাস্তি অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়। পরীমনি ও সাকলায়েনের ঘটনায় ৮ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিমকে (ট্রেনিং) প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান মিয়া মাসুদ জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, পরীমনি ও সাকলায়েনকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। সাকলায়েন অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। পরীমনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এলোমেলোভাবে দিয়েছেন। এ ছাড়াও তদন্ত কমিটি দুইজনের ঘনিষ্ঠজনদেরকেও জিজ্ঞাসা করেছেন।
তদন্ত কমিটির জানতে পেরেছেন, সাকলায়েন মামলাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করার লোভ দেখিয়ে পরীমনিকে তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। পরীমনিও সুযোগটি গ্রহণ করেন। তদন্ত কমিটি যেসব আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে, তাতে তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। তারা দুজনই নিজেদের স্বার্থের কারণে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সাকলাইন নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এতে করে পরীমনির মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত হলে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হতো।
তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে সাকলায়েন দাবি করেছেন যে, পরীমনি তাকে জোর করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তিনি আগ বাড়িয়ে কিছু করতে চাননি। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে তিনি কেন ওই সম্পর্কে জড়ালেন তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।