ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড এর খেলা মানেই টানটান উত্তেজনা। খেলার মাঠে কোন দলই হার মেনে নিতে চায়না। তবে শেষ হাসি হাঁসতে হয় যে কোন এক দলকেই।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড জড়ো করেছে ১৬৬ রান।
আবুধাবিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকেন কিউই বোলাররা। ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ৩৭ রানে।
১৭ বলে মাত্র ১৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন জনি বেয়ারস্টো। পাওয়ারপ্লেতে দল জড়ো করে ৪৫ রান। অষ্টম ওভারে দলীয় ৫৩ রানে জস বাটলার বিদায় নেন ২৪ বলে ২৯ রান করে। এরপর রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব নেন ডেভিড মালান।
চার নম্বরে নামা মঈন আলীকে অপর প্রান্তে রেখে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান মালান। অর্ধশতকের আশা জাগিয়ে আউট হয়ে যান ৪১ রানে। তার আগে ৩০ বলের মোকাবেলায় হাঁকান চারটি চার ও একটি ছক্কা। মালানের বিদায়ের পর মঈনই ধরেন দলের হাল।
তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১০ বলে ১৭ রান করে লিভিংস্টোন বিদায় নিলেও মঈন ৩৫ বলে পূর্ণ করেন বিশ্বকাপে তর প্রথম অর্ধশতক। ৩৭ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন, হাঁকান তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। ২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
শেষ ৫ ওভারে ইংল্যান্ড জড়ো করে ৫৬ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও জিমি নিশাম।