বাড়তি ভাড়া না দিতে গ্যাসচালিত গাড়িতে স্টিকার লাগালেন মালিক, ভাসছেন প্রশংসায়

সম্প্রতি দেশে ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ভাড়া বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। শুধু ডিজেলচালিত যানবাহনে এ নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্যাসচালিত বিভিন্ন গাড়ির চালক-হেলপারদের বিরুদ্ধে।

কিন্তু এসব অভিযোগের মধ্যেও গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম নগরের কয়েকটি গাড়িতে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। যেখানে গাড়ির মালিক নিজেই লিখে দিয়েছেন, ‌‘শ্রদ্ধেয় যাত্রী ভাই, গ্যাসের গাড়ি বাড়তি ভাড়া দিবেন না।’ কাগজে লেখা ওই স্টিকারে মালিকের একটি নম্বরও লিখে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ওই গাড়ির মালিকের নাম শামসুল আলম বাবুল। ফটিকছড়ির এই বাসিন্দা বর্তমানে পরিবার নিয়ে থাকেন নগরের বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার ইসাকের পুল এলাকায়। নগরের চার নম্বর রোড অর্থাৎ দেওয়ানহাট-নতুন ব্রিজ রোডে তার গাড়ি চলে মোট ছয়টি। এগুলো হলো- চট্টমেট্রো চ ৩৫৫৫, চট্টমেট্রো চ ৩৪৮২, চট্টমেট্রো চ ২৩৮২, চট্টমেট্রো চ ৪১৫৪, চট্টমেট্রো জ ১০৭৭ এবং চট্টমেট্রো জ ১৯৯৯। গ্যাসচালিত এসব গাড়িতে তিনি স্টিকারগুলো লাগিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে শামসুল আলম জানান, গত মঙ্গলবার তার গাড়ির ড্রাইভার যাত্রীদের সঙ্গে বাড়তি ভাড়া নিয়ে একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছেন। এরপর যাত্রীদের হয়রানির কথা চিন্তা করে ওইদিন রাতেই তিনি স্টিকারগুলো লাগিয়ে দেন। যাতে যাত্রীরা গাড়িতে ওঠার আগেই ভাড়া সম্পর্কে সচেতন হন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার গাড়িগুলো দৈনিক এক হাজার ৮০০ টাকা করে ভাড়া দেন। গ্যাসচালিত এসব গাড়িতে তেলের দাম বৃদ্ধির কোনো প্রভাব পড়েনি। আমি আগের ভাড়াই নিচ্ছি। অথচ ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন বলে আমি অভিযোগ পেয়েছি। যার কারণে এ উদ্যোগ নিয়েছি।’

শামসুলের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করছেন অনেকেই। মো. শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘গাড়ির মালিকরা এভাবে সচেতন হলে সড়কে যাত্রী হয়রানি অনেকাংশে কমবে। এখন সবাই সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে তৎপর।’