সম্প্রতি জাভির পর বার্সায় ফিরেছেন আলভেজ। তবে জাভি ফিরেছেন কোচ হয়ে অন্যদিকে আলভেজ রাইটব্যাক হিসেবেই। পজিশনে এই ব্রাজিলিয়ান বিদায় নেওয়ার পর তার অভাব পূরণে কম চেষ্টা করেনি বার্সেলোনা। ক্লাবের একাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা অগতির গতি সের্হি রবার্তো ছিলেন।
এরপর নেলসন সেমেদো, সের্হিনিও দেস্তকে কেনে তারা। এমারসন রয়ালকে কিনে আবার বিক্রিও করে বার্সা। অস্কার মিনগেজাকে সেখানে খেলানো হয়েছে। কিন্তু দানি আলভেজের সৃষ্টিশীলতা ও রক্ষণের মিশেল কারও মধ্যেই পাওয়া যায়নি। তাই সাড়ে পাঁচ বছর পর আলভেজকেই আবার ফিরিয়ে এনেছে কাতালান ক্লাব।
এদিকে ডান প্রান্তে মেসির বেশির ভাগ আক্রমণের উৎস ছিলেন আলভেজ। পায়ের কারুকাজে দুজন গড়েছেন বার্সার সোনালি সময়ের অনেক বড় একটি অংশ। দুজনের বন্ধুত্বও দারুণ। ৪৩টি ট্রফি জিতে ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় আলভেজ বার্সায় ফেরার পর নিশ্চিতভাবেই মিস করছেন মেসিকে। কাল তাই আলভেজের পরিচিতিপর্বে মেসির বার্সায় ফেরার প্রসঙ্গও এল। সে প্রশ্নে আলভেজের উত্তর, দু-তিন ঘন্টা সময় পেলেই মেসিকে ‘ধরে আনতে’ পারবেন তিনি!
এদিকে বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তাকে ফোনে কয়েক দফা ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আলভেজ। ক্যাম্প ন্যু–তে তার এক সময়ের সতীর্থ জাভি হার্নান্দেজ যেহেতু এখন কোচ, তাই দ্বিতীয়বারের মতো বার্সায় ফিরতে অসুবিধা হয়নি আলভেজের। জাভির সবুজ–সংকেত দেওয়ার পরই আলভেজকে নিয়ে এসেছে বার্সা। এখন শুধু লিওনেল মেসি ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে ফিরিয়ে আনলেই নিজেদের সোনালি সময়ের বেদিতে অন্যরকম এক অর্ঘ্য দিতে পারবে বার্সা। তা হবে কি না, বোঝা যাবে সময় হলেই।
আলভেজ যে মেসিকে মিস করছেন, তা বোঝা গেল তার কণ্ঠে। কে না জানে, বার্সায় মেসির সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল আলভেজের। এ মৌসুমের আগে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেই বার্সা, সেই ক্যাম্প ন্যু…সব থাকলেও মেসি নেই; এ বিষয়টি মেনে নেওয়া কঠিন আলভেজের জন্য। সুক্ষ্ম কৌতুকবোধে এই বাস্তবতা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করলেন আলভেজ। তিনি বললেন, ‘আমাকে দু-তিন ঘন্টা সময় দিলে মেসিকে ধরে আনতে পারব’-যেন তিনি প্যারিসে গেলেই মেসিকে উদ্ধার করা সম্ভব!