প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের মাথাপিছু আয় আর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিই যার বড় প্রমাণ।
নতুন খবর হচ্ছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আত্মীয় সম্পর্ক। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল। যদিও শেখ কামাল অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। জামাল তার প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখে, স্যান্ডহার্স্ট পাস করে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে যোগদান করে।’
রবিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোট্ট রাসেলের সবসময় একটা শখ ছিল, সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে আমি সবাইকে হারাই।’
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। যুগোপযোগী ‘প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। গত ১৩ বছরে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছি। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।’’