অবশেষে দেশের বাজারে করোনার ওষুধ, খেতে হবে ৪০টি পিল

আজ থেকে দেশের বাজার পাওয়া যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওরাল পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’। এটির জেনেরিক সংস্করণের নাম হবে ‘ইমোরিভির’। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দেশে করোনার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট ‘মলনুপিরাভির’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ওষুধ প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

এদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধী খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্কয়ার, বেক্সিমকো, রেনেটা, ইনসেপ্টা, এসকেএফ, জেনারেল, বিকনসহ ৮ থেকে ১০টি ওষুধ প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছে। তবে শুধু বেক্সিমকোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস জানায়, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিশ্বের প্রথম মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ দেশের বাজারে আনছে বেক্সিমকো ফার্মা। এটি জরুরি ব্যবহারে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।

এদিকে বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা জানান, মুখে খাওয়ার প্রতিটি ওষুধের বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৭০ টাকা। চিকিৎসকের পরামর্শে ১৮ বছরের বেশি বয়সী করোনা আক্রান্ত রোগীকে সংক্রমণ প্রতিরোধে ৪০টি পিল খেতে হবে। যার বাজার মূল্য হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

এ প্রসঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘মহামারিকালে “রেমিডেসিভির” এর পর “মলনুপিরাভির” দেশের বাজারে এনে করোনার চিকিৎসা মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে বেক্সিমকো যে দ্রুত সাড়া দেয়, এটি তার উদাহরণ। এটি কোম্পানির অনেক বড় সাফল্য এবং করোনার এই যুদ্ধে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে; বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশে যেখানে টিকা ঠিকমতো পৌঁছাতে পারছে না।