আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন বারবার আমাকে বাঁচিয়েছেনঃ প্রধানমন্ত্রী

একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতোমধ্যে তিনি গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন খেতাব আর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য পদক, পুরস্কার ও স্বীকৃতির পালক এখন শেখ হাসিনার মুকুটে একের পর এক যুক্ত হচ্ছে।

নতুন খবর হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিতার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বারবার আঘাত এসেছে, কিন্তু কেন জানি না আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন বারবার বাঁচিয়েছেন। সেবা করার সুযোগ পেয়েছি বলেই একটা মর্যাদায় বাংলাদেশকে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।

রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, যাদের জন্য জাতির পিতা সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেন সেই বাঙালি জাতির হাতে তাকে জীবন দিতে হলো।

দলের দায়িত্ব নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সবকিছু জেনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিতার স্বপ্নপূরণের জন্য আমি দেশে ফিরে আসি। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হতো। জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা তো কেউ দেশকে উন্নত করতে চাননি।

ক্ষমতা তাদের কাছে ছিল ভোগের বস্তু ও বিলাসবহুল জীবন। আর তারা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দলে টেনে একটি শ্রেণি তৈরি করল। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ এগিয়ে আসেনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কারণে আমরা সুবিধা যেমন পাবো আবার স্বল্পোন্নত দেশের সুযোগগুলো পাবো না।