ইতিহাস গড়ার হুঙ্কার দিয়ে একশও করতে পারলো না টাইগাররা

আজ ম্যাচ শুরুর আগে ইতিহাস গড়ার হুঙ্কার দিয়েছিলো টাইগারদের কোচ ডোমিঙ্গো। ইতিহাস সত্যিই হতে চলেছিলো আবুধাবিতে, তবে জিতে নয়, টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রান সংগ্রহের ইতিহাস গড়তে চলছিলো টাইগাররা। শেষদিকে মাহেদী আর শামিমের ব্যাটে লজ্জার ইতিহাস গড়তে গড়তে বেঁচে যায় মাহমুদউল্লার দল। এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ কলকাতায় ৭০ রানে অলআউট হয় টাইগার বাহিনী। এছাড়াও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরটিও ৭৬ রানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

আজ আবু ধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে একে একে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। এক রাবাদাই কোমর ভেঙে দিয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান ফিরে যায় ২২ রানে, এরপর ১২ রান করতেই প্যাভিলিয়নে চলে যায় টাইগারদের অর্ধেক ব্যাটসম্যান।

এদিকে পাওয়ার প্লে-তে এক রাবাদাই তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। নতুন বলে ব্যাট করতে নেমে মহারাজের প্রথম ওভারে ৪ রান নেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম। ভালোই চলছিলো নাঈম ও লিটনের ব্যাট। কিন্তু চতুর্থ ওভারে শুরু হয় রাবাদার তাণ্ডব। টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে তৈরি করেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। রাবাদার দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে নাঈম শট খেলেন মিডউইকেটের দিকে। টাইমিংয়ের অভাবে সেই শট ধরা পড়ে রিজা হেনড্রিকসের হাতে। এরপরের বলেই নতুন ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এলবিডাব্লিউ হলেন।

দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ওভার শেষ করেন রাবাদা। মাঝে এক ওভার সামাল দিলেও আবারও রাবাদার আঘাত। তার তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে মুশফিকুর রহিম ঠেকিয়ে হ্যাটট্রিকবঞ্চিত করেন প্রোটিয়া পেসারকে। কিন্তু রাবাদা ঠিকই নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে ফেলেন মুশফিককে। ওভারের তৃতীয় বলে এক্সট্রা বাউন্সের বলে শট নেন মুশফিক। আর গালিতে দাঁড়ানো রিজা হেনড্রিকস দুর্দান্তভাবে লুফে নেন সেই সুযোগ। যদিও বল মাঠিতে স্পর্শ করেছে কিনা সেই সন্দেহে জাগে আম্পায়ারদের, তাই রিভিউ করেন তারা। শেষমেশ আউটের সিদ্ধান্তই জানায় আম্পায়াররা।

২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে পারলেন না। ইনিংসের অষ্টম ওভারের শেষ বলে আনরিখ নর্টিয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মাত্র ৩ রানে। এরপর আফিফও মিউ-উইকেটে ব্যাট চালাতে গিয়ে বোল্ড হন প্রিটোরিয়াসের বলে। ক্রিজে দাত চেপে টিকে থাকা ওপেনার লিটনও দাসও ফিরে যান শামসির স্পিন ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে।

এদিকে শেষদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে অভিষিক্ত শামীম এবং অলরাউন্ডার মেহেদীর ব্যাট প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়। তবে তাদের সেই চেষ্টা বেশিক্ষণ চলতে দেয়নি স্পিনার শামসি। তার বলে লগ অনে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরাশায়ী হন মহারাজের হাতে। শেষপর্যন্ত টিকতে পারেনি মেহেদীও। লগ অনে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ২৫ বল খেলে করেন ২৭ রান। ২ চার আর এক ৬-এ টাইগারদের হয়ে সবোর্চ্চ রান করেন তিনি। তার ফিরে যাওয়ার পরের বলেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮৪ রান।