একমাত্র পুলিশই বিনিময় ছাড়া জনগণকে সেবা দেয়: এসপি নাবিলা

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক পুলিশ বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে৷ গুটিকয়েক পুলিশ সদস্যের নীতিভ্রষ্টতার কারণে এমন অভিযোগ পুরো পুলিশ বাহিনীর উপর এসে পড়ে৷ তবে এর পেছনে নাগরিক সমাজের ভূমিকাও কম দায়ী নয়?

নতুন খবর হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুরের মেয়ে নাবিলা জাফরিন রীনা। একজন নারী হলেও কখনো পেশাগত কাজে নিজেকে পিছিয়ে রাখেননি।
বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) হিসেবে। ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছয় বছর ধরে একই পদে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

তার কর্মজীবন নিয়ে জীবনের নানা দিক ও পেশাগত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন এসপি রীনা। তার বাবা পিডব্লিউডিএ’র সাবেক কর্মকর্তা মৃত মো. বজলুর রশীদ ভুঁইয়া ও সামসুন্নাহারের একমাত্র কন্যা তিনি। মা সামসুন্নাহার এখন রীনার সঙ্গেই থাকেন।

তিনি বলেন, পরিবার থেকে কোনো বাধা তো ছিলই না বরং আমার বাবা যিনি আমার আদর্শ তিনি আমাকে কখনো মেয়ে হিসেবে চিন্তা করেননি। আমার তিন ভাই এক বোন। বাবা আমাকে সন্তান হিসেবে মানুষ করেছেন ছেলে-মেয়ে বিভেদ করেননি। আমার বাবার ঐকান্তিক ইচ্ছা ছিল পুলিশ হবো, তার স্বপ্নে আমি আজ এখানে এসেছি। পরিবার যদি সাপোর্ট না করে তাহলে তো কোনো কিছু করা সম্ভব নয়, আমার পরিবারের সবাই, আমার সন্তানরাও অনেক হেল্পফুল। আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। আমার মা ও ভাইয়েরা সবাই আমাকে হেল্প করেন। স্বামী অসম্ভব হেল্পফুল একজন মানুষ। তিনি যেকোনো বিষয়ে আমাকে সাহায্য করেন। চাকরির ক্ষেত্রে আমি কখনোই বাধার সম্মুখীন হইনি।

এসপি রীনা আরও বলেন, আমি অনেককেই জিজ্ঞাসা করি, আপনি কি কখনো কোনো জায়গায় গিয়ে কারো কাছে টাকা পয়সা ছাড়া সাহায্য পেয়েছেন? চিকিৎসকের কাছে যাবেন ফি দিতে হবে, মামলার করেছেন উকিলের কাছে যাবেন তিনি টাকা ছাড়া মামলা লড়বেন না। কিন্তু পুলিশই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে আপনি সেবা পাবেন কোনো বিনিময় ছাড়া। পুলিশ তো কোনো চাকরি নয়, এটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আর সেবার মন মানসিকতা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়।