এটা হৃদয় ভাঙার পরাজয়: মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে মাহমুদউল্লাহ অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের মতো দুই দলের বিপক্ষে টানা সিরিজ জিতে বিশ্বকাপে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে বাজে পারফর্মেন্সের ধারা শুরু হয়েছিল, সেটা ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজেও অব্যাহত রইল। ৩-০ ব্যবধানে আজ হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি হয়েছে রুদ্ধ্বশ্বাস উত্তেজনার। পরাজয় এসেছে একেবারে শেষ বলে। এমন পরাজয় নিয়ে টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘কিছুট হলেও হার্টব্রেকিং। খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশতঃ হয়নি।’

অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে এই সিরিজের পার্থক্য নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘শেষ দুই হোম সিরিজ আর এই সিরিজের যদি তুলনা করতে যাই, তাহলে উইকেট অপেক্ষাকৃত ভালো ছিল।’ বাংলাদেশের আজ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সমস্যা হলো, ৪৭ রান করতে তিনি খরচ করেছেন ৫০ বল! এই ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে অবশ্য সমস্যা দেখেন না অধিনায়ক, ‘ওই সময় আমার মনে হয় পার্টনারশিপটা জরুরি ছিল। নাঈম ভালো ব্যাটিং করেছে। আফিফ আর নাঈমের পার্টনারশিপটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ শেষ ম্যাচে সাইফ হাসানকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা টিম ম্যানেজম্যান্ট ভালো বলতে পারবে। আমরা শামীমকে একটা সুযোগ দিতে চেয়েছি এবং আমি মনে করি, শামীম আজ ভালো ব্যাটিং করেছে।’

টানা দুই সিরিজ জয়ের পর বিশ্বকাপ আর পাকিস্তান সিরিজে ব্যর্থতা…। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আসলে যদি দুই-একটা ম্যাচ জেতা যেত, দলের আত্মবিশ্বাসের লেভেলটা আরও ভালো থাকত। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় আমাদের ড্রেসিংরুমটা খুব উৎফুল্ল ছিল। আর ম্যাচ হারলে সব টিমমেটেরই খারাপ লাগে। অনেক সন্দেহ তৈরি হয়। আমার মনে হয়, ছেলেরা সবাই কষ্ট করেছে। নিজেদের উজার করে দিয়েছে। জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফলাফলটা আমাদের ঘরে আসেনি।’