গাইবান্ধার ১৩ ইউনিয়নের ১০টিতেই হেরেছেন নৌকার প্রার্থীরা

নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। পরাজয়ের শক্ত ভিত্তিই তৈরী করে দেবে কাঙ্খিত বিজয় অর্জনের প্রেরণা। অনেক প্রার্থী বলে থাকেন ফলাফল মেনে নেওয়ার মানসিকতা আছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন।

নতুন খবর হচ্ছে, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে গাইবান্ধার সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা। বাকি ১০টির তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, একটিতে জামায়াত এবং বাকি ছয়টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

প্রকাশিত ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী তিন চেয়ারম্যান হলেন- ঘাগোয়া ইউনিয়ন পরিষদে আমিনুর জামান রিংকু, গিদারী ইউনিয়নে হারুনুর রশীদ ইদু ও মোল্লারচর ইউনিয়নে সাইদুজ্জামান সরকার।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী তিন প্রার্থী হলেন- বল্লমঝাড় ইউনিয়নে জুলফিকার রহমান, বাদিয়াখালি ইউনিয়নে মো. সাফায়েতুল হক পাভেল ও কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদে মো. মতিয়ার রহমান।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা মো. আবুল কালাম আজাদ চেয়ারম‌্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী বাকি ছয় প্রার্থী হলেন- রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে মো. মোসাব্বীর হোসেন, মালিবাড়ি ইউনিয়নে সোয়েব মো. রাসেল, খোলাহাটি ইউনিয়নে মাসুম হক্কানি, বোয়ালি ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম সাবু, সাহাপাড়া ইউনিয়নে মো. মশিউর রহমান মিঠুল মাস্টার ও কুপতলা ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম সরকার।

সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম‌্যান পদে ৭৬, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৪৯ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

১৩ ইউনিয়নের মধ‌্যে শুধু লক্ষ্মীপুরে ইভিএমে ও বাকি ১২ ইউপিতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হয়েছে। মোট ১২৯টি ভোট কেন্দ্রে তিন লাখ চার হাজার ১৪৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।