জাতীয় লিগে সৌম্যের বোলিং ঝলক, নিলেন ৩ উইকেট

বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সৌম্যে । এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শেষ রাউন্ডে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ধুঁকছে খুলনা বিভাগ৷ তবে দলের বাজে অবস্থায়ও ব্যাট ও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন সৌম্য সরকার৷

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে ব্যাট হাতে একেবারে নিষ্প্রভ ছিলেন টাইগার ওপেনার সৌম্য। তারই ফলাফলস্বরূপ এই ওপেনারকে রাখা হয়নি দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সিরিজের দলে৷ তবে, জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও অলস বসে নেই তিনি৷ আবারো জাতীয় দলে ফেরার মিশনে সৌম্য মনোনিবেশ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচগুলোতে৷

লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ঢাকা বিভাগের মুখোমুখি হয়েছে খুলনা বিভাগ৷ আর সেই ম্যাচে ঢাকার বোলারদের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি খুলনার ব্যাটাররা৷ প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগের করা ৩৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে খুলনা৷ প্রথম ইনিংসে তারা অলআউট হয়েছে ২১৩ রানে৷

তবে, দল সুবিধা করতে না পারলেও ব্যাট হাতে লড়াই করেছেন সৌম্য সরকার। প্রথম ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনিই৷ খুলনা মাত্র ৩৬ রানে ২ উইকেট হারালে চার নম্বরে ব্যাট করতে আসেন জাতীয় দলের এই ওপেনার৷ ইমরুল কায়েসের সাথে জুটি গড়ে দলকে সাময়িক বিপদ থেকে তুলে আনার চেষ্টা করেন সৌম্য৷ তবে দলীয় ১০০ রানে ইমরুল বিদায় নিলে ব্যর্থ হয় তার চেষ্টা৷

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে খুলনা বিভাগ৷ কিন্তু, ব্যাট হাতে একাই লড়াই করে গেছেন সৌম্য। দলের অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৬৫ রান৷ ৯৪ বলের সেই ইনিংসে সৌম্য হাঁকিয়েছেন মোট ৭টি বাউন্ডারি৷ এর আগে বোলিংয়েও ঝলক দেখান সৌম্য। প্রথম ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে দলের পক্ষে নেন যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট।

তবে, অলরাউন্ডার সৌম্যর এমন পারফরম্যান্সও আটকাতে পারেনি দলের ভরাডুবি। ঢাকা বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে ১২২ রানে এগিয়ে থেকে৷

জাতীয় ক্রিকেট লিগের আগের রাউন্ডেও ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন সৌম্য৷ সিলেট বিভাগের বিপক্ষের সে ম্যাচে ৮৭ বলে ৫৭ রান করেছিলেন তিনি৷