টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানে পাকিস্তানের ধারে কাছেও নেই বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-পাকিস্তান এর খেলা মানেই টানটান উত্তেজনা। খেলার মাঠে কোন দলই হার মেনে নিতে চায়না। তবে শেষ হাসি হাঁসতে হয় যে কোন এক দলকেই।

নতুন খবর হচ্ছে, শুক্রবারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান দলের বাংলাদেশ সফর৷ বাংলাদেশ সময় দুইটায় শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দুইবার হেরেছে পাকিস্তান। ফাইল ছবি

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সের বিচারে সম্পূর্ণ দুই মেরুতে ছিল বাংলাদেশ আর পাকিস্তান। সিরিজ শুরুর আগে তাই খুব একটা স্বস্তিতে নেই টাইগাররা৷ অতীত পরিসংখ্যান ঘেঁটেও খুব একটা সান্ত্বনা খুঁজে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা৷ আগে যতবারই মুখোমুখি হয়েছে দুই দল ততবারই একচ্ছত্র ভাবে আধিপত্য দেখিয়েছে পাকিস্তান৷ বাংলাদেশ-পাকিস্তান আরেকটি সিরিজের আগে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক দুই দলের মধ্যকার কিছু পরিসংখ্যানে।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মোট ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তার মধ্যে ১০ বারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান। বাকি দুইটা ম্যাচে শুধু ম্যাচের ফলাফল এসেছে বাংলাদেশের পক্ষে৷ টাইগারদের দুই জয়ের দুইটিই এসেছে দেশের মাটিতে।

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া চার ম্যাচে দুই দলের জয় সংখ্যা সমান৷ দেশের মাটিতে হওয়া সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ টাইগাররা জিতে নিয়েছিল ১-০ ব্যবধানে। জয় এসেছে দেশের মাটিতে হওয়া সর্বশেষ এশিয়া কাপের ম্যাচেও৷ নিজেদের পরিচিত কন্ডিশনে পাকিস্তানকে পেয়ে এই দুই ম্যাচকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারে বাংলাদেশ৷

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১৭৫ রান৷ আর সর্বনিম্ন ১০১ রানে ইনিংস শেষ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইনিংস প্রতি ১৩৮ গড়ে রান করেছে টাইগাররা। বিপরীতে পাকিস্তান দলের গড় ১৬৩। টাইগাররা মোট ৮টি ম্যাচে প্রথমে ফিল্ডিং করেছে। পরে ব্যাট করেছে ৪টি ম্যাচে৷ আর তাদের দুইটি জয়ই এসেছে আগে ফিল্ডিং করা ম্যাচে।

পাকিস্তানের বিপক্ষের এই ১২ ম্যাচে মোট পাঁচ জন অধিনায়ক নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে। সর্বোচ্চ তিনটি করে ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেতৃত্ব দিয়েছেন দুটি ম্যাচে। বাকি থাকা ম্যাচটিতে বাংলাদেশ দলকে সামলেছেন সাকিব আল হাসান। টাইগারদের দুই জয়ের দুইটিই এসেছে মাশরাফির নেতৃত্বে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাই তিনিই সবচেয়ে সফল অধিনায়ক৷