দলে সর্বনিম্ন স্ট্রাইকরেটের ক্রিকেটার থাকলেও, নেই দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান ইমন

সদ্য সমাপ্ত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন যে আসবে সেটা অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু যাদের দলে আসার কথা দল ঘোষণার পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া গেলো কই! পাকিস্তান সিরিজের আগে যে ক’জন তরুণকে ডেকে আনা হয়েছিল অনুশীলন ক্যাম্পে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মনে করা হচ্ছিল ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্কোয়াডে রাখা হলোনা তাকেই! কিন্তু ঠিক কি কারণে এমনটা করলো টিম ম্যানেজম্যান্ট, আর পারভেজেরই বা দোষটা কোথায়?

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু পারভেজকে দলে না রাখার পেছনে অদ্ভুত এক দোষ দেখিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মূলত টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী ওপেনিংয়ে ডান-বামের সমন্বয় রাখতে চেয়েছেন তারা। সে কারণেই পারভেজের বদলে বেছে নেওয়া হয়েছে সাইফকে।

অথচ ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও সাইফ আগ্রাসী হিসেবে পরিচিত নন। অনেকটা এক প্রান্ত ধরে খেলতেই পছন্দ করেন। ছক্কা মারার সামর্থ্য থাকলেও দ্রুত রান আনতে খুব একটা দেখা যায় না তাকে। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ১৪ ইনিংসে ২৮.০৭ গড়ে ৩৬৫ রান করেন সাইফ। স্ট্রাইক রেট ছিল কেবল ১১৩।

অন্য দিকে পারভেজ স্বীকৃত ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। গত বছর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪২ বলে করেন সেঞ্চুরি। এর আগে বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বিভিন্ন সময় বলেছিলেন, তিনি বরাবরই ব্যাটিং অর্ডারে ডান-বামের সমন্বয়ের পক্ষে। টপ অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্ত থাকায় পারভেজকে নিলে প্রথম তিনজনই হন বাঁহাতি। এখানেই সুযোগ ঘটেছে সাইফের।

এদিকে টি-টোয়েন্টিতে যে ঘরানার ক্রিকেট খেলেন সাইফ, নাঈমও সেই একই ঘরানার ব্যাটসম্যান। দুজনেই শুরুতে থিতু হতে সময় নেন। থিতু হলে পুষিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা দেখা যায়। বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে আগ্রাসী শুরুর জন্য ভুগেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই চ্যালেঞ্জ থাকছে।