দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য দেশের চেয়ে সফল পাকিস্তান: ইমরান খান

বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির ‘আক্রমণ’ এবং আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন পাকিস্তান। দেশটির জাতীয় বৈদ্যুতিক শক্তি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (নেপ্রা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১.৬৮ পাকিস্তানি রুপি বৃদ্ধি করায় অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপের মুখে সেদেশের সাধারণ জনগণ।

জানা যায়, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ জারির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো পাকিস্তানেও খাদ্যপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে; তবে তা নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য দেশের চেয়ে সফল পাকিস্তান। রোববার টুইটে এই তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

টুইটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারি ও লকডাউনের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু মাশা আল্লাহ, পাকিস্তান অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক দক্ষভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুজাম্মিল আসলামের একটি ভিডিও ক্লিপও শেয়ার করেছেন ইমরান খান। সেখানে মুজাম্মিল আসলাম বলেছেন- পাকিস্তানের অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে- এমন ধারণা ভিত্তিহীন। তবে ভিডিও ক্লিপে আসলাম স্বীকার করেছেন, পেট্রোলিয়াম, গ্যাস ও ভোজ্যতেলের দামের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

এদিকে, পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলোর জোট পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) শুক্রবার (৫ নভেম্বর) এক নতুন সরকারবিরোধী আন্দোলেনের ডাক দিয়েছে। পিডিএমের এবারের আন্দোলনের প্রধান ইস্যু- দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আর্থিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা। আট-ঘাট বেঁধে আন্দোলনে নামতে জোটের প্রধান শরিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ জোটভুক্ত অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ফোন ও ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ ও বৈঠক করছেন। পিডিএমের একাধিক নেতা পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনকে জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরের পরিস্থিতি সরকারের জন্য কঠিন করে তুলতে এবার দৃঢ় আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছেন তারা।