ধর্মপ্রাণ হাশিম আমলাকে মদ পানের জন্য জোর-জবরদস্তি করা হতো!

দক্ষিন আফ্রিকার ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে হাশিম আমলা অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, কয়েকদিন আগে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার আজিম রফিকের বিস্ফোরক বক্তব্যের পরে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট আপাতত ব’র্ণবিদ্বে’ষ বিতর্কে উত্তাল। এদিকে এর মধ্যেই বিতর্ক বাড়িয়ে এবার মুখ খুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার টিনো বেস্ট। আর তিনি কথা বলেছেন মুসলিম ক্রিকেটার হাশিম আমলার সম্পর্কে।

ক্যারিবিয়ান পেসার টিনো বেস্ট ২০১০-এ ইয়র্কশায়ারে আজিম রফিকের সাথেই খেলেছেন। বেস্ট জানান কাউন্টিতে ম’দ্যপা’নের রীতির জন্য অনেক এশীয় ক্রিকেটার সেভাবে দলের পরিবেশে অভ্যস্ত হতে পারেন না। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, ‘মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলাকে জোর করে ম’দ্যপা’নের বহু চেষ্টা করা হয়েছিল।’

স্কাই স্পোর্টস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিনো বেস্ট জানিয়েছেন, ‘হাশিম আমলাকে একবার এক ব্যক্তি টানা তিন-চার ঘণ্টা ধরে জোরাজুরি করছিল। প্রত্যেক মিনিটেই সেই ব্যক্তি এটা-ওটা পান করানোর জন্য নাছোড় হয়ে পড়ছিলেন। আর হাশিম বরাবরের মতো বিনয়ী হয়ে বলছিল, স্যার আমি পান করি না। তা সত্ত্বেও সেই ব্যক্তি থামার কোনো লক্ষণই দেখাচ্ছিলেন না। আমি তখন বলতে বাধ্য হই- হাশিম একজন মুসলিম। ও পান করে না। প্লিজ তুমি এই জোরাজুরি বন্ধ করো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’

হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় জার্সিতে ম’দ্যপানী’য়ের এন্ডোর্সমেন্টেও রাজি হননি। বেস্ট ওই ঘটনা প্রকাশ করে জানালেন, কিভাবে এশীয় এবং এশীয় বংশোদ্ভূতরা ইংরেজ ক্রিকেট সংস্কৃতিতে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না।

বেস্ট বিবিসি স্পোর্টস-কে আরো জানিয়েছেন, ‘ইংরেজদের ক্রিকেট সংস্কৃতি পুরোটাই ম’দ্যপা’নকে কেন্দ্র করে। দলের অংশ হওয়ার জন্য কাউকে ক্লাবহাউসে গিয়ে ৮-৯ পেগ ম’দ্যপা’ন করতে বাধ্য করা উচিত নয়। যদি কেউ এই পানীয় সংস্কৃতিতে স্বচ্ছন্দ বোধ না করে, তাহলে বকলমে সে দলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এটা ব’র্ণবি’দ্বেষ ঘটনাকে আরো প্রভাবিত করছে।’

টিনো আরো বলেন, ‘আমি কৃ’ষ্ণাঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও দলের অংশ হতে চাইতাম। তারা বাকিদের সম্পর্কে যা বলত, তা এখনো শুনলে অবাক হতে হয়’

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস