ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে জরিমানাসহ ৫ বছরের কারাদণ্ড

এবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান ধর্ষণের অভিযোগের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলার বাদী আসমা বেগমকে (২৬) ৫ বছরে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে আসমা বেগমের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হল, বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের কালাম খানের স্ত্রী আসমা বেগম।

এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল রায় বলেন, আজকের এ রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মিথ্যা ও বানোয়াট নারী নির্যাতন-ধর্ষণ মামলা যারা করেন তাদের জন্য এটি সতর্কীকরণ। এ ধরনের মামলায় সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জিয়া উদ্দীন বলেন, এ রায়ের পরে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতা কমে আসবে।

এদিকে মামলার বিবরণে জানা গেছে, তালতলি উপজেলার ঝাড়াখালী গ্রামের আব্দুস ছত্তার খানের ছেলে স্বপনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী কালাম খানের স্ত্রী আসমা বেগম ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০১৬ সালের ১৫ মে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা তদন্তের জন্য তালতলী থানাকে নির্দেশ দেন। তালতলী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত শেষে অভিযোগ অসত্য-ভিত্তিহীন উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।

এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী আসমা বেগম নারাজি আবেদন করলে আদালত তা অগ্রাহ্য করেন। এর আগে গত ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি স্বপন খান ধর্ষণ মামলার বাদী আসমা বেগমের বিরুদ্ধে একই আদালতে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করে সন্মানহানি, হয়রানি করার অভিযোগ মামলা দায়ের করেন। আদালত স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে আসমা বেগমের বিরুদ্ধে সোমবার এ রায় দিয়েছেন।