নামাজের মাধ্যমে মানুষের জীবনে অসাধারণ পরিবর্তন আসে

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ। এর মধ্যে একটি হলো নামাজ। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অনেকেই অতিরিক্ত নামাজও আদায় করেন।

এছাড়া শবে বরাত এবং লাইলাতুল কদরে সারা রাত নামাজের মাধ্যমে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই পূণ্য অর্জন। কিন্তু আপনার অজান্তেই এই নামাজ স্বাস্থ্যের কি কি উপকারে আসছে তা জানেন কি?

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, নামাজ পড়ার মাধ্যমে শরীরের বেশকিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাড়াচাড়া হয় যা এক প্রকার ব্যায়াম। এই ব্যায়াম স্বাস্থ্যের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য অনেক উপকারি।

জেনে নিন নামাজ পড়ার ১১টি স্বাস্থ্যগত উপকারিতা-
১. নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয়। যার ফলে স্মৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।
২. নামাজে যখন দাঁড়ানো হয় তখন জায়নামাজের সামনের দিকের একটি নির্দিষ্ট স্থানে চোখ স্থির থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩. নামাজের মাধ্যমে শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এই সময়ে দেহের সব অঙ্গ প্রতঙ্গ বিভিন্ন ভাবে বার বার নড়াচড়া করতে হয়। যা একটি উত্তম ব্যায়াম হিসেবে স্বীকৃত। নামাজের মাধ্যমে মানুষের জীবনে অসাধারণ পরিবর্তন আসে।

৪. নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারণ পরিবর্তন আসে। পারিবারিক যে কোন ঝুটঝামেলা থেকে এই সময়ের জন্য আমাদেরকে রিলাক্স দেয়। মনে পরিবর্তন ঘটায়।
৫. নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকালঙ্গতা লোপ পায়।
৬. নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে। ওজুর সময় দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয়, যার ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭. নামাজের জন্য ওজুর সময় মুখমণ্ডল ৩ বার ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮. ওজুর সময় মুখমণ্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয়, যার জন্য আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যা বলিরেখা কমতে সাহায্য করে।
৯. কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে, এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকা যায়।
১০. নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১. কেবলমাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়মমাফিক যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়। যার কারণে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ন থাকে।