নিজের সফলতার পেছনে বাংলাদেশের এক কোচের অবদান জানালেন রিজওয়ান

আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে যে ক’জন ক্রিকেটার সকলের মন জুগিয়েছেন, তার নাম মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাটানো পাকিস্তানি উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান গড়েছেন অনন্য রেকর্ডও। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রানের মালিক সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আইসিইউ থেকে ফিরে দারুণ এক ইনিংস খেলেন। তার এই যাত্রার পেছনে কাদের অবদান রয়েছে তাও তুলে ধরেন বাংলাদেশে এসে।

এদিকে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ও ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তান এখন বাংলাদেশে। ১৯ নভেম্বর মাঠে গড়াবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। ইতোমধ্যে দল অনুশীলন শুরু করলেও প্রথম দিন বিশ্রামে ছিলেন রিজওয়ান। আজ (১৬ নভেম্বর) তার অনুশীলনে ফেরার কথা, জানিয়েছেন নিজেই।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেই ছাড়িয়ে যান এক পঞ্জিকা বর্ষে আগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ক্রিস গেইলকে (১৬৬৫)। সেমি ফাইনালে হারা ম্যাচেও হাসপাতাল থেকে ফিরে খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস।

ক্যারিয়ারের শুরুর সময়টা কেটেছে বেঞ্চে বসে বসে। খুব একটা সুযোগ না পাওয়া রিজওয়ান গত ২ বছরে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে তার অবস্থান এখন ৬ নম্বরে। গেইলকে পেছনে ফেলা রিজওয়ানের (১৭৪৩) সামনে এখন সুযোগ ব্যবধান আরও অনেক বাড়িয়ে নেওয়ার। বাংলাদেশের বিপক্ষেই যে আছে ৩ টি-টোয়েন্টি।

রেকর্ড গড়া যাত্রায় রিজওয়ান যাদের পেয়েছে তাদের নাম উল্লেখ করেছেন গতকাল (১৫ নভেম্বর) পাকিস্তান দলের মিডিয়া ম্যানেজারের পাঠানো এক ভিডিও বার্তায়। যেখানে বাংলাদেশের কোচ রিচার্ড পাইবাসের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

রিজওয়ান বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান করতে পেরেছি। আমি আরও বেশি খুশি যে পাকিস্তানের হয়ে আমি এই রেকর্ডটি করতে পেরেছি। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই রিচার্ড বাইপাস, ইনজামাল উল হক ও শহীদ আসলামকে। যারা আমার এই অর্জনের পেছনে অবদান রেখেছেন।’

রিচর্ড পাইবাস একাধিক মেয়াদে পাকিস্তানের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে সাড়ে চার মাসের মধ্যেই অবশ্য দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। নিজের শারীরিক অবস্থার জানান দিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখন আমি ভালো আছি। দুবাইয়ে থাকতে শ্বাসপ্রশ্বাসে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। আশা করছি কাল অনুশীলন শুরু করতে পারব। চিকিৎসক ও ফিজিওরা আমাকে পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন, ইতোমধ্যে তা শেষ করেছি।’

এখনো মিরপুরের উইকেট না দেখা এই পাকিস্তানি উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ধারণা রাখেন বলে জানান, ‘প্রত্যেক দেশেই কন্ডিশন ভিন্ন হয়। ঢাকার কন্ডিশন নিয়ে সবাই চিন্তিত। বিশ্বকাপের আগে এখানে অনেক টার্ন ও গ্রিপ দেখা গেছে, অবশ্যই এখানে খেলা কঠিন ছিল। কাল মাঠে গিয়ে দেখব কন্ডিশন ও উইকেট কেমন। আমাদের ধারণা বলছে, এখানে বল স্লো হবে এবং গ্রিপ করবে।’