নির্বাচনে হেরে সাঁকো ভেঙে দিলেন প্রার্থী!, ৪ গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ

এবার বগুড়ার শেরপুরে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় বাঁশের সাঁকো ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চরবেলগাছী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৪ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নির্বাচনে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু (টিউবয়েল প্রতীক) ও নুরুন্নবী মন্ডল হিটলার (মোরগ প্রতীক) অংশ নেন। এরমধ্যে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু পরাজিত হন। এতে করে তার কর্মী-সমর্থকরা ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এমনকি ভোট না দেওয়ায় চরকল্যাণী, চরবেলগাছী, চরবিনোদপুর ও বেলগাছী গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলেন।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাছেদ, আবু সালেম, আব্দুস সোবাহান বলেন, বাঙালী নদীর ওপর বেলগাছী নামক স্থানে ব্রীজ রয়েছে। এই ব্রিজে যাওয়ার জন্য চরবেলগাছী নামক স্থানে গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় একটি খালের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। আর এই সাঁকোটি দিয়েই চার গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ইউপি নির্বাচনে রঞ্জু হেরে গেছেন। তাকে ভোট না দেওয়ার কারণে তার সমর্থকরা সাঁকোটি ভেঙে দিয়েছেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু। তিনি বলেন, এই ধরণের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি ও আমার কোনো কর্মী-সমর্থকরা জড়িত নেই।

এদিকে বিজয়ী প্রার্থী নুরনবী মন্ডল হিটলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনী জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে সাঁকোটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করছি।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।