পরমব্রতের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়ায় ভাঙল অনুপমের সংসার!

এবার কলকাতার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায় নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, পিয়া চক্রবর্তী এখন থেকে বন্ধু হিসেবেই থাকবেন। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আর থাকছেন না তারা। অনুপম রায়-পিয়া চ্যাটার্জি দুজনেই টুইট করে বিচ্ছেদের খবর জানিয়েছেন। অনেকের মতে তাদের বিচ্ছেদের কারণ কোনো তৃতীয় ব্যক্তি।

সেই ব্যক্তি দূরের কেউ নন শোবিজ জগতের প্রথম সারির এক নায়ক। যিনি টলিউডের মতোই বলিউডেও সমান ব্যস্ত। সেই নায়কের সঙ্গেই নাকি বেশ কিছু দিন ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পিয়া। অতিমারি এবং ইয়াস বিধ্বস্ত সুন্দরবনে শিল্পী দম্পতি এবং সেই অভিনেতা ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছিলেন। টলিউডের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে সেই জনপ্রিয় অভিনেতার নাম। তিনি আর কেউ নন পরমব্রত।

এদিকে আনন্দবাজার অনলাইনের খবর অনুযায়ী, ইয়াসে যখন গোটা বাংলা বিপর্যস্ত তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তন্ময় ঘোষের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এ মঞ্চেই যোগ দিয়েছিলেন অনুপম, পরমব্রত, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়সহ এক ঝাঁক তারকা। যুক্ত হয়েছিল পিয়া চক্রবর্তীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হেডস’। এরাই অতিমারির সময় গঠন করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’। পরে সেই সংগঠনে যোগ দেন পিয়া চ্যাটার্জি।

এদিকে পরমব্রতর জন্মদিন ছিল জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিয়া-পরমকে ছবি আপলোদ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। শুভেচ্ছা বার্তায় লিখেন, শুভ জন্মদিন। আরও অনেক স্মৃতি তৈরি করব আমরা। সেই রেশ ধরেই, ১৬ আগস্ট পিয়ার জন্মদিনে পরমব্রত শুভেচ্ছা জানান। ইনস্টাগ্রামে ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন বন্ধু। কমরেড, ভরসার মানুষ। চল, অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি তৈরি করি। ঠিক যে রকমটা তুমি চেয়েছিলে জন্মদিনে। যদিও সেই ছবি তারা দুজন ছাড়াও ঋতব্রত মুখার্জি এবং অনুষা বিশ্বনাথনকে দেখা গেছে।

এছাড়াও ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, তার দেখভালে তৈরি হয়েছে নয় সদস্যের এক কমিটি। নাম না হওয়া সেই কমিটির প্রধান পরমব্রত। এবং সম্প্রতি তাতে নাকি যোগ দিয়েছেন পিয়াও। অনেকেই মনে করছেন তবে কি গায়কের সংসার ভাঙল নায়কের কারণে? এগুলোই কি দাম্পত্য ভাঙার নেপথ্য অনুঘটক? তাই দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে নিচ্ছে অনেকেই।

এর আগে গত ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর পিয়াকে বিয়ে করেন অনুপম। পিয়া চক্রবর্তী নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি করেছেন গ্রেটার নয়ডাব শিব নাডার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুত্ব হয় অনুপমের সঙ্গে। বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা, তারপর বিয়ে। এর আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল এ সংগীতশিল্পীর।

এদিকে বিবাহবিচ্ছেদকে সম্মানের সঙ্গে দেখার অনুরোধ করেছেন অনুপম রায়। গেল পূজায় একসঙ্গে ছিলেন অনুপম-পিয়া। বছর খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে পিয়া জানিয়েছিলেন, চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের মাধ্যমেই দুজনের প্রেম হয়েছিল। সে প্রেম তাদের কাছে টেনে এনেছে।