পাকিস্তানকে হারানোর পর হাসিমাখা উইনিং সেলফিতে বাঘীনিরা

ছেলেরা ইতোমধ্যেই পাকিস্তানকের কাছে দেশের মাটিতে সিরিজ হারলেও জয় দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করেছে মেয়েরা। আজ রবিবার হারারের ওল্ড হারারিয়ান্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তারা ২ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে। আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২০১ রান করে পকিস্তান। ৪৯.৪ ওভারে বাংলাদেশের মেয়েরা সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায়।

হারারেতে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে মহাবিপদে পড়েছিল জাভেইরা খানের দল। মাত্র ৪৯ রানে নেই হয়ে যায় পাঁচ উইকেট। বল হাতে আগুন ঝরাতে থাকেন রিতু মনি–নাহিদা আক্তাররা। নিদা দার এবং আলিয়া রিয়াজের ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। ১৩৭ রানের জুটিতে নিদার অবদান ১১১ বলে ৮৭ আর আলিয়া করেন ৮২ বলে অপরাজিত ৬১* রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২০১ রান। রিতু মনি আর নাহিদা ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে নেন সালমা আর রুমানা।

জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মুর্শিদা খাতুন (৯)। এরপর ৭০ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অপর ওপেনার শারমিন আক্তার এবং ফারজানা হক। শারমিন ৬৭ বলে ৩১ আর ফারজানা ৯০ বলে ৪৫ রান করেন। এর মাঝে দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে রিতু মনি আর রুমানা গড়েন ৬১ রানের জুটি। এরপর ফের দুই উইকেটের পতনে জাগে শংকা। লতা মণ্ডল আর ফাহিমা খাতুন ‘ডাক’ মেরে ফিরেন।

তবে রুমানা আর সালমা খাতুনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে নেমে অল-রাউন্ডার রুমানা আহমেদ খেলেন ৪৪ বলে ৬বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৫০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দেন সালমা। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৪২ রানের জুটিতে ৪৯.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। সালমা খাতুন ১৩ বলে ২ চারে ১৮* রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের ওমাইমা সোহাইল নেন ৪৪ রানে ২ উইকেট। অল-রাউন্ড পারফর্মেন্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন রুমানা আহমেদ।