পার্কে পতিতা রেখে অনৈতিক কার্যকলাপ!

বাংলাদেশে ‘গণিকাবৃত্তি’ বৈধ৷ নানা কারণে উচ্ছেদ হয়েছে বেশ কিছু যৌনপল্লি৷ অনেকক্ষেত্রে উচ্ছেদের আসল কারণ জমি দখল৷ দেশে বৈধ যৌনকর্মী আছেন প্রায় ১ লাখ৷ অবৈধভাবে আছেন আরো তিন-চার লাখ৷

নতুন খবর হচ্ছে, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় বিনোদনকেন্দ্র আলাদিনস্ পার্কের ভেতরে পতিতা রেখে নারী ব্যবসা ও মাদক এবং যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবনের অভিযোগ উঠেছে। পার্কের ভেতর দুতলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিংয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষ পনের থেকে বিশ জন পতিতা রেখে নির্বিঘ্রে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ইতিপূর্বে ২০১৯ সালে এবং ২০২০ সালে এ বেআইনি কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে খদ্দেরসহ বেশকিছু পতিতাকে আটক করে। তৎপরবর্তীতে নিয়মিত অভিযান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারও পরিচালিত হচ্ছে এব্যবসা। এসব অনৈতিক কাজে ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোর, যুবকরাও। নারী ব্যবসা ও মাদকে জড়িত হয়ে ছাত্র ও যুব সমাজ ধ্বংসের পথে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পার্ক ব্যবসার আড়ালে পতিতা ব্যবসার পাশাপাশি মাদক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রি ও সেবনেরমত ঘটনা প্রতিয়িত হচ্ছে এখানে। নিচতলা ও দুতলায় প্রতিটি রুমের ভাড়া ঘন্টায় দুই হাজার টাকা। পতিতা ভাড়া আরো দুই হাজার টাকা। খদ্দেররা নিজেরা জোগাড় করে বহিরাগত পতিতা নিয়ে এলে রুম ভাড়া দুই হাজার টাকা। আলাদিনস্ পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পনের থেকে বিশ জন পতিতা রয়েছে। এদের দিয়ে নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, পার্কটির মালিক একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রভাবশালী হওয়ায় এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায় না।পার্ক দেখতে আসা পর্যটকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভেতরের বিল্ডিংটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্ক মালিকের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ মিলেছে। তবে বেশিরভাগক্ষেত্রেই পার্কের ম্যানেজার, দালাল মিলেই কৌশলে পরিচালনা করছে পতিতা ব্যবসা।