পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে শরিফুলের হিজড়া বেশ, নাম রাখেন পরীমনি

মানুষকে মাদকাসক্তির দিকে পরিচালিত করার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা, সামাজিক অস্থিরতা, উত্তেজনা, একঘেয়েমি, একাকিত্ব এবং পারিবারিক কাঠামো পরিবর্তনের পরিবেশে ব্যর্থতার সঙ্গে লড়াই করতে অক্ষমতা। তবে মাদকাসক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ হলো মাদকের সহজলভ্যতা।

নতুন খবর হচ্ছে, মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সফিকুল ইসলাম (৩৫)। ২০১৮ সালের মাদক মামলায় তার সাজা হয়। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সাফিকুল নেন তৃতীয় লিঙ্গের ছদ্মবেশ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ উপজেলার দিয়াশুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সফিকুল টিকাসার গ্রামের এসকেন্দার সরদারের ছেলে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন সফিকুল ইসলামের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত সফিকুল ২০১৮ সালের একটি মাদক মামলার পলাতক আসামি। তিনি তৃতীয় লিঙ্গের ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিলেন।

পরনে সালোয়ার কামিজ। চুল কাঁধ বেয়ে নেমে গেছে পিঠ পর্যন্ত। কখনো ঠোঁটে লিপস্টিক, কপালে টিপ, কড়া মেকআপ দিয়ে বের হতেন। অঙ্গভঙ্গি, আচরণ ও বেশভূষায় পুরো তৃতীয় লিঙ্গের মতো। এমনকি মেয়েলি কণ্ঠে কথা বলেন। নিজের নামও বদলে ফেলেছিলেন। কেউ নাম জানতে চাইলে সিনেমার নায়িকাদের নাম বলে পরিচয় দিতেন। তবে পরীমনি নামটি তার বেশি পছন্দের। বেশিরভাগ সময় তিনি ওই নামেই পরিচয় দিতেন।