প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, আনন্দে খেতেই ভুলে গেছেন জ্যোতি-সালমারা

আফ্রিকা অঞ্চলে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় আইসিসি প্রমীলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব বাতিল করেছে আইসিসি। ফলে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে।

জানা যায়, জিম্বাবুয়েতে বাছাই পর্ব খেলতে থাকা বাংলাদেশের নারী দল স্বপ্ন পূরণের খবরটি পায় বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়। সেই খবর শুনে জ্যোতি-রুমানারা আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন। কেউ কেউ তো নাওয়া-খাওয়া ভুলে আনন্দ-নৃত্যেই মশগুল থেকেছেন। যারা কোনও দিন ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি, তাদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ধরন তো এমন হওয়াই স্বাভাবিক।

বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার পর জিম্বাবুয়ে থেকে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘কয়েক ঘণ্টা আগে আমাদের কাছে যখন খবর এলো, আনন্দে আমরা কান্নাকাটি করেছি। খাওয়া-দাওয়া ভুলে গেছি। আসলে আমরা এটার জন্য অনেক কষ্টে করেছি। কষ্ট করেই তো পাঁচ নম্বর র‌্যাঙ্কিংয়ে এসেছি। সেই কষ্টের ফল আমরা অবশেষে পেয়েছি। এই আনন্দ কোনোভাবেই ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’

সাবেক অধিনায়ক রুমানাও যেন জ্যোতির সুরে সুর মেলালেন। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা এতটাই খুশি যে আনন্দে আজ লাঞ্চ করতে ভুলে গেছি। এতদিন ধরে এমন একটি খবরের আশাতেই পরিশ্রম করেছি। আমাদের স্বপ্ন আজকে পূরণ হয়েছে। সবাই মিলে খুব আনন্দ করেছি। এই আনন্দ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সেরা মুহূর্ত এটি। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, শুনছিলাম দুবাইতে যেতে পারে বাছাই পর্ব। কিন্তু যখন খবরটা পেলাম। বুঝতে পারছিলাম না কী করবো, উত্তেজনায় অনেক চেঁচামেচি করেছি।’

জ্যোতি-রুমানা যখন কথা বলছিলেন, আশপাশে তখন আনন্দ চিৎকার। এই আনন্দ যেন থামার নয়। নিগার জানালেন, তাদের এই আনন্দ থামছে না- ‘আমরা প্রত্যেকেই অসম্ভব খুশি। যে স্বপ্নটা নিয়ে এখানে এসেছিলাম, তাতে সফল হওয়াতে ভীষণ খুশি। এত কষ্টের ফল, এত তাড়াতাড়ি কি আনন্দ বন্ধ হবে। আজকে আমার সব ভুলে কেবল আনন্দই করবো।’